বঙ্গবন্ধু সেতু’ কি যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে

‘বঙ্গবন্ধু সেতু’ কি যমুনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে! এমন শঙ্কা ও উদ্বেগ বিরাজ করছে বিশেষজ্ঞদের মাঝে। যমুনার ভাঙন তীব্র হওয়া, যমুনার মূল স্রোতে সেতুর গাইড লাইনে প্রতিনিয়ত আঘাত হানা, সেতু থেকে নৌ-পথে সাড়ে ৬ কিলোমিটার দূরে হার্ড পয়েন্টে ঘন ঘন ধস নামা, যমুনার ড্রেজিং করা বালি দিয়ে নির্মিত চারটি স্পার ভাঙন প্রতিরোধে কোন কাজে না আসা এবং সেতুর ভাটিতে ২ কিলোমিটার দূরে যমুনা নদী থেকে অপরিকল্পিকভাবে বালু খেকোদের জমজমাট ব্যবসার প্রসার ঘটায় এমন ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অবিলম্বে সরকার এসব ব্যাপারে সতর্ক না হলে কেপিআইভুক্ত এই অতিগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশে নদী ভাঙন একটি বড় সমস্যা। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এটি একটি বড় বাধাও বটে। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে একশ্রেণীর মানুষ যেমন সহায় সম্বল হারিয়ে রাতারাতি দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে; তেমনি নদী ভাঙনকবলিত এলাকায় সামাজিক সমস্যাও প্রকট রূপ নিচ্ছে। অতিতে নদী ভাঙনের জন্য প্রাকৃতিক কারণকে দায়ী করা হলেও এখন এই ধারণা পাল্টে গেছে। গত কয়েক দশকে দেশে যেহারে নদী ভাঙন চলছে তার অন্যতম কারণ- উজানে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ। আর এসব স্থাপনার মাধ্যমে ভারত শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রত্যাহার করে নেয় এবং বর্ষায় এসব স্থাপনার সকল গেট খুলে দিয়ে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পানি বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়। এতে করে বর্ষায় যে পরিমাণ পলি দেশের নদ-নদীগুলোতে চলে আসে তা একদিকে যেমন নদীগুলোর গভীরতা কমিয়ে দিচ্ছে; অন্যদিকে এসব পলি সরানোর জন্য যেভাবে নদী খনন করা প্রয়োজন- তা না হওয়ায় ভাঙন তীব্র হচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের নদ-নদীগুলো বছরে এক বিলিয়ন মেট্রিক টন বালু বহন করে আনে। এই সমস্যার উত্তোরণে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় না। বরং অর্থের অভাব, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নদী ভাঙন প্রতিরোধের অনেক প্রকল্প আটকে আছে বছরের পর বছর। অনেক এলাকায় জরুরি কাজের নামেও চলে অর্থের লুটপাট। দরপত্র মূল্যায়নের নামে প্রকল্প নিয়ে যে দুর্নীতির সূত্রপাত ঘটে; তার পরিসমাপ্তি হয় প্রকল্পটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে। অর্থের বিনিময়ে অপ্রয়োজনীয় অনেক প্রকল্প তৈরি করা হয়; যার কারণে নদী ভাঙন প্রতিরোধের পরিবর্তে তা আরও বেড়ে যায়। যমুনা নদীতে এক হাজার কোটি টাকার পাইলট ক্যাপিটাল ড্রেজিং এমনই একটি প্রকল্প। যার সুফল আসেনি। অথচ ব্যয় হয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের হাজার কোটি টাকা। আর যমুনার ভাঙনকে আরও তীব্র করেছে। ঝুঁকির মুখে বঙ্গবন্ধু সেতু আইডব্লিউএম’র এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুর ফাউন্ডেশনে কিছুটা কারিগরি ত্রুটি রয়েছে। এই ত্রুটি রেখেই প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজার যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করছে সেতুর উপর দিয়ে। শুরুতে এই সেতুতে পরিবহন ও রেল চলাচলের ব্যবস্থা রেখেই এর নকশা প্রণয়ন করা হলেও পরবর্তিতে মূল পরিকল্পনা থেকে রেল লাইন বাদ দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এরপর আবার এতে রেললাইন তৈরি করা হয়। এভাবে সেতুর ভিত্তি অনেকটাই দুর্বল হয়ে যায়। সেতুটিকে আরও ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে এর উজানে যমুনা নদীর ব্যাপক ভাঙন এবং ভাটিতে বালু ব্যবসায়ীদের নদী খনন করে বালু উত্তোলন। এখানে বালু ব্যবসায়ী চক্র এতটাই প্রভাবশালী যে প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে পারে না। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এখানে চলে শত শত কোটি টাকার বালু ব্যবসা। এসব কারণে সেতুর উজানে ও ভাটিতে নির্মিত গাইড বাঁধ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এই গাইড বাঁধ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া না হলে গাইড বাঁধে ভাঙন দেখা দেবে এবং তা মূল সেতুতে আঘাত হানবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যমুনা নদীর তীব্র স্রোতে, স্রোতের ঘূর্ণিপাক, সেতু থেকে দুই কিলোমিটার ভাটিতে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন এবং হার্ড পয়েন্টের উজানে সরু পথ দিয়ে তীব্র গতিতে পানি প্রবেশ করে এক কিলোমিটার ভাটিতে এসেই নদী চওড়া হয়ে চারটি চ্যানেলে প্রবাহিত হওয়ার কারণেও ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। এই ভাঙন ঠেকাতে যমুনার চর কেটে মূল স্রোতেকে হার্ড পয়েন্টের উল্টোদিকে নেয়ার চেষ্টা করা হলেও; বাস্তবে ঘটেছে তার উল্টোটি। এতে করে ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে চলতি বর্ষায় দুই দফায় সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্ট ভেঙে যায়। গত চার বছর ধরেই বর্ষা শুরু হলে হার্ড পয়েন্টে ধস নামে। যমুনার ভাঙন থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুকে রক্ষা করতে চারটি স্পার নির্মাণ করা হলেও এর কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এসব স্পারে যমুনার মূল স্রোতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে তা আরও তীব্র হয়ে আঘাত হানছে হার্ড পয়েন্ট থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত যমুনার প্রতিটি বাঁকে বাঁকে। এই পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু সেতু কতটুকু ঝুঁকিমুক্ত তা অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে নিরূপণ করা অত্যাবশ্যক। খতিয়ে দেখতে হবে বঙ্গবন্ধু সেতুর ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে বালু সরে যাচ্ছে কিনা? প্রয়োজনে আল্ট্রা সাউন্ড ক্যামেরা দিয়ে বেড লেভেল থেকে মাইনাস ২৬ মিটার গভীরে গিয়ে পুরো সেতুর পুরো গাইড লাইনের ছবি নিতে হবে। সেইসাথে মনিটরিং ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রয়োজনীয়তা বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম এবং বিশ্বের ১২তম দীর্ঘসেতু। ১৯৯৮ সালের জুন মাসে এটি উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশের ৩টি বড় নদীর মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম এবং পানি নির্গমনের দিক থেকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম নদী যমুনার উপর এটি নির্মিত হয়েছে। শুরুতে এর নাম যমুনা সেতু হলেও পরবর্তিতে এর নাম বঙ্গবন্ধু সেতু করা হয়। সেতুটি বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দেশের দুই অংশকে একত্রিত করেছে। এই সেতু নির্মাণের ফলে জনগণ বিভিন্নভাবে লাভবান হচ্ছে এবং এটি আন্তঃআঞ্চলিক ব্যবসা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সড়ক ও রেলপথে দ্রুত জাতীয় মালামাল পরিবহন ছাড়াও এই সেতু বিদ্যুৎ, গ্যাস সঞ্চালন এবং টেলিযোগাযোগ সমন্বিত করার এক অপূর্ব সুযোগ করে দিয়েছে। সেতুটির একপ্রান্তে টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী উপজেলা ও অপরপ্রান্তে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮ দশমিক ৫ মিটার। প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি এখন হুমকির মুখে। ১৯৪৯ সালের মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী উত্তরবঙ্গের সাথে দেশের অন্য এলাকার যোগযোগের সুবিধা ও দেশের অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তাকে সামনে এনে যমুনার ওপর সেতু নির্মাণের দাবি জানান। এ প্রেক্ষিতে ১৯৮৫ সালের ৩ জুলাই তৎকালিন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সেতু নির্মাণের অনুমতি দান করেন। এই সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে বিএনপি সরকার ১৯৯৩ সালে। ১৯৯৪ সালের ১০ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। আর ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন সেতু উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শত বছরের নিশ্চয়তা দিয়ে কোরিয়ান কোম্পানি হুন্দাই এটি নির্মাণ করলেও এই ব্রিজ এখন হুমকির মুখে। গত ৫ বছর আগে সেতুতে ফাটল দেখা দেয়। সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, যানবাহনের চাপের কারণে ফাটল দেখা দিয়েছিল। বর্তমানে চীনের কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এই সেতুর মেরামত কাজের দায়িত্বে রয়েছে। যে কারণে যমুনা ভাঙছে নদী ভাঙন বাংলাদেশের একটি নিয়মিত দুর্যোগ। নদী ভাঙনে ক্ষয়ক্ষতি ধীরে ধীরে হলেও অন্যান্য আকস্মিক ও প্রলয়ঙ্করী দুর্যোগ অপেক্ষা অধিক ধ্বংসাত্মক ও সুদূরপ্রসারী। পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যমুনার ভাঙন বৃদ্ধি পাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে- শুষ্ক মৌসুমে নদী শুকিয়ে যাওয়া; আর বর্ষায় এই নদী দিয়ে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হওয়া। যমুনা বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর একটি। এটি ব্রহ্মপুত্র নদীর প্রধান শাখা, যা গোয়ালন্দের কাছে পদ্মা নদীর সাথে মিশেছে। ১৭৮৭ সালের বন্যায় ব্রহ্মপুত্র নতুন খাতে প্রবাহিত হয়ে এই নদীর সৃষ্টি করেছে। উৎপত্তিস্থল হতে এর দৈর্ঘ্য ২৪০ কিলোমিটার। তিস্তা, ধরলা, করতোয়া ও আত্রাই যমুনার প্রধান উপনদী। যমুনার এসব উপনদী ভারত থেকে এসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তা যমুনার সাথে মিলেছে। ভারত এসব উপনদীর উজানে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করায় যমুনার পানি প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা, ধরলা, করতোয়া ও আত্রাই নদীর পানি ভারত একতরফাভাবে প্রত্যাহার করায় যমুনা নদীর বিভিন্ন চ্যানেল শুকিয়ে যায়। আর বর্ষায় এসব উপনদীর ওপর দেয়া বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় যমুনা রাক্ষুসী রূপ ধারণ করে। যমুনার তীব্র ¯্রােতধারা ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি করে। যমুনার ভাঙন তীব্র হওয়ার পেছনে কাজ করছে এখানকার মাটির গঠন। এই গঠন এতটাই দুর্বল যে সামান্য চাপ বা আঘাতে নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দেয়। ভারত এটি জেনেই সুকৌশলে যমুনার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল উপনদীর উপর দেয়া বাঁধ গেল বর্ষায় খুলে দেয়। এতে করে তীব্র গতিতে ধেয়ে আসায় বর্ধিত পানির চাপ সামাল দিতে পারে না যমুনা অববাহিকার মাটি। ফলে নদীর পাড়ে ভাঙন দেখা দেয়। এছাড়াও নদীর পাড়ে নিচের দিকে অবস্থিত নরম পলি মাটি পানির ধাক্কায় ধাক্কায় গলে যাবার ফলে নিচের দিকে ফাঁপা সৃষ্টি হয় এবং উপরের শক্ত মাটি প্রথমে ধসে গিয়ে পরে ভেঙে পড়ে। নদী ভরাট হয়ে যাবার কারণে পানি বৃদ্ধির সময় পাড়ের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয় এবং পাড় ভাঙতে থাকে। যমুনা নদীতে নতুন চর সৃষ্টির কারণে নদীর স্বাভাবিক গতিপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েও ভাঙন দেখা দিচ্ছে। যমুনার ভাঙনে সমাজ জীবনে প্রভাব নদী ভাঙন বেকারত্ব ও দারিদ্র্যতার প্রসার ঘটায়। নদী ভাঙনের ফলে ভূমিহীনতা বৃদ্ধি পায়। যমুনার ভাঙনে প্রতিবছর ২০ হ্জাার মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষ অভাবের তাড়নায়, ষড়যন্ত্রমূলক প্ররোচনায় কিংবা অন্যের চাপের মুখে অবশিষ্ট জমি-জমা, গবাদি-পশু এবং অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী হাতছাড়া করে ফেলছে। এসব মানুষ অতিমাত্রায় ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিতে পতিত হয়। খাবার পানি ও পয়ঃ পরিচ্ছন্নতার তীব্র সংকট দেখা দেয়। নারীদের ব্যক্তিগত বা দৈহিক নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয় এবং নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পায়। যমুনার ভাঙনে বহুসংখ্যক লোক কর্মসংস্থান লাভের বা বেঁচে থাকার আশায় এলাকা ত্যাগ করে শহর বা অন্য কোন স্থানে অস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়ে চলে গেছে। বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের মাঝে ভিক্ষা বৃত্তির প্রসার ঘটেছে। লেখা-পড়া বাধাপ্রাপ্ত হওয়া এবং স্কুল বন্ধ থাকার কারণে বহু ছেলে-মেয়ে একবার স্কুল ছেড়ে গেলে আর স্কুলে ফিরে আসতে পারে না; ফলে জনসংখ্যায় অশিক্ষিতের হার বেড়ে গেছে। শিশু শ্রম ও শিশু নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদসহ নানাভাবে পারিবারিক সম্পর্ক বা বন্ধন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেইসাথে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের সামাজিক অবস্থানের চরম অবনতি ঘটছে।
Share on Google Plus

About juwel ishlam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment