নির্বাচনে দশ দিনের জন্য সেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব

আসন্ন আসন্ন জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে দশ দিনের জন্য সেনা মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন তাদের কাজ হবে সিভিল প্রশাসনকে সাহায্য করা।শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতে নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা জানিয়েছেন।সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন বিচারের এই ক্ষমতা নির্বাহী এবং বিচারিক হাকিমদের।
তিনি আরো বলেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এখনো বাকি। অন্য সবার প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের কারণে প্রার্থী বাড়ছে। ইসিকে এসব প্রার্থী সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পন্ন করতে হচ্ছে। প্রার্থীদের এসব কাজ শেষে হলে ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শুরু হবে। তবে ভোটগ্রহণের সাত দিন আগেই ব্যালট নির্বাচনী এলাকাগুলোতে চলে যাবে।
ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেছেন শুধু প্রিসাইডিং অফিসার এবং পুলিশ ব্যবহার করতে পারবে। অন্যরা বহন করতে পারবে কিন্তু ব্যবহার করতে পারবে না। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মাঠ থেকে এই ধরনের প্রস্তাব এসেছে। আমরা তা কমিশনে পাঠাব। কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে। এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন হচ্ছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে। সব দল নির্বাচনে আসছে। তাই মোবাইল ব্যবহারের ব্যাপারে এমন প্রস্তাব এসেছে।মিরপুরে শুক্রবার সকালে ডঃ কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন ৩০০ আসনে নির্বাচন হচ্ছে। যেসব নেতিবাচক ঘটনা ঘটছে তা তুলনামূলক কম। তারপরও পুলিশকে এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে কেউ ইসিতে অভিযোগ করেনি।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের পুলিশ গণহারের গ্রেফতার করছে ইসির কাছে বিএনপি এমন অভিযোগ করেছিল। এই ব্যাপারে সাংবাদিকেরা হেলালুদ্দীনের কাছে জানতে চান বিএনপির অভিযোগ কতটা আমলে নেওয়া হয়েছে। জবাবে ইসি সচিব বলেন বিষয়গুলো ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি তদন্ত করে ইসিতে প্রতিবেদন পাঠাবে। কমিশন থেকেও পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সিনিয়র কোনো নেতাকে যেন হয়রানি না করা হয়। কিছু অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সেগুলোর ব্যাপারের ব্যবস্থা নেয়া যায়নি।
বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে ইসি সচিব আরো বলেন, যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের অনেকের নামে আগেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। কিন্তু তারা আত্মগোপনে থাকায় তখন গ্রেফতার করা যায়নি। এখন নির্বাচন উপলক্ষে যারা প্রকাশ্যে আসছে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে।

Share on Google Plus

About juwel ishlam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment