পশুর হাটগুলো বিক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণে
-
রাজধানীও চট্টগ্রামের পশুর হাটগুলোতে ক্ষণে ক্ষণে হাওয়া বদলাচ্ছে। টানা ১০দিন
গরুর বাজার খারাপ গেলেও হঠাত্ করেই দাম বেড়ে যায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যায়।
প্রায় গরু শুণ্য হয়ে পড়ে এসব বাজার। পরে বিভিন্ন মিডিয়ায় গরু সংকটের খবর
প্রচার হলে আজ মঙ্গলবার সকালে আবারও বাজারগুলো সয়লাব হয়ে যায় কোরবানির
পশুতে। তবে এখনো বাজার বিক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণে বলে জানা গেছে।চট্টগ্রাম
ও রাজধানীর বিভিন্ন গরুর বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার দুপুর থেকে
বাজারগুলো প্রায় পশু শুন্য হয়ে পড়ে। সুযোগ বুঝে ক্ষতটাও পূরণ করে নেয়
বিক্রেতারা। দুইদিন আগেও যেসব গরু বিক্রি হয়েছে ৫০/৬০ হাজার টাকায়-
সেগুলোর দাম বেড়ে হয় লাখ টাকা। বিক্রেতারা দাম আরও বাড়াতে পারে বলে আভাস
দেয়া শুরু করে।চট্টগ্রাম গরু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আবু
ইউসুফের বরাত দিয়ে ইত্তেফাকের নিজস্ব প্রতিবেদক শামীম হামিদ জানান,
সোমবার দুপুরের পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চট্টগ্রামের আটটি গরুর হাটের
কোনো হাটেই গরু ছিল না। পরে চট্টগ্রামে কোরবানির পশু সংকটের খবর মিডিয়ায়
প্রচার হওয়ার পর বেনাপোল ও সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর গরু
এসেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে আবারও জমে ওঠে গরুর হাটগুলো। একদিকে যেমন পশুর
দাম নাগালের মধ্যে এসেছে। অন্যদিকে বাজার ক্রেতা সমাগম হওয়ায় খুশি
বিক্রেতারা।রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ইত্তেফাকের বিশেষ
প্রতিনিধি আবুল খায়ের জানান, গত দুইদিন ধরে গরুর দাম বেড়েছে। যানজটের কারণে
দক্ষিণবঙ্গের হাজারো গরুর ট্রাক আটকা পড়েছে। তিনি আরও জানান, গরু সংকটের
খবরে উত্কণ্ঠা দেখা দিয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। ধারনা করা হচ্ছে, আজ রাতে গরুর
দাম আরেক দফা বাড়তে পারে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন