একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করতে আবারও সারাদেশে ভোটকেন্দ্রভিত্তিক সংগ্রাম

একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করতে আবারও সারাদেশে ভোটকেন্দ্রভিত্তিক সংগ্রাম কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়ে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকার একতরফা নির্বাচনের দিকে এগুলে সে নির্বাচন প্রতিহত করা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। কারণ, একদলীয় শাসনে কেবল কিছু ব্যক্তি ও দলবিশেষের স্বার্থ হাসিল হয়, দেশ ও জনগণ উপকৃত হতে পারে না—যা বর্তমানে চলছে।
সরকারকে দায়িত্বশীল ও মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন অনুভব করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সময় দ্রুত বয়ে যাচ্ছে, সমঝোতার পথে আসুন, দেশকে হানাহানি এবং আরও অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দেবেন না। তিনি বলেন, একদলীয় শাসনের অবসান ঘটতে আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। সামনে সুদিন আসছে। জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে শাসনতন্ত্র কেটেছিঁড়ে কলঙ্কের নতুন অধ্যায় রচনা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই কলঙ্ক মুছতে হবে। তাই আসুন, সবাই মিলে সোচ্চার হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করি। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদের উদ্যোগে দেশের বর্তমান ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে খালেদা জিয়া ব্যবসায়ীদের এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় খালেদা জিয়াকে ব্যবসায়ী নেতারা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি ধ্বংসের পথে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে দেশের ব্যবসায়ীদেরকে আন্দোলনে নামতে হবে। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী নেতারাও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এবং একতরফা নির্বাচন ঠেকাতে বিরোধী জোটের সর্বাত্মক আন্দোলনে পাশে থাকার ঘোষণা দেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতায় তার সরকার ও বর্তমান সরকারের আমলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন, প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে তুলনামূলক পরিসংখ্যান তুলে এবং বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার কথা বলেন।তিনি বলেন, দেশে বর্তমান সরকারের অগণতান্ত্রিক ও আক্রমণাত্মক আচরণের পরও আমরা ধৈর্য, সংযম ও সহনশীলতা হারাইনি। আমরা দেশের স্বার্থে সংঘাত-হানাহানিকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছি। কারণ, আল্লাহর ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা এবং জনগণের প্রতি সম্পূর্ণ নির্ভরতা রয়েছে।
নতুন ধারার রাজনীতি ও সরকার : নতুন ধারার রাজনীতি ও সরকার গঠন প্রসঙ্গে বেগম জিয়া বলেন, কেবল কথামালা নয়, কাজের মাধ্যমেই আমরা তার প্রমাণ দিতে চাই। মেধা ও যোগ্যতাকে আমরা সর্বোচ্চ মাপকাঠি বলে বিবেচনা করব। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, সঙ্কীর্ণ দলবাজিকে আমরা প্রশ্রয় দেব না মোটেও। সব মতকে সমন্বিত করে বৈচিত্র্যের মধ্যে গড়ে তুলব জাতীয় ঐক্য। আমরা সরকারে গেলে ব্যবসা করব না; বরং পথের বাধাগুলো দূর করে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যের গতিকে ত্বরান্বিত করে প্রকৃত ব্যবসাবান্ধব সরকার গঠন করব। নষ্ট রাজনীতিকে আমরা অনুসরণ না করে রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে উন্নত করব। জনগণকে পছন্দের প্রতিনিধি বেছে নেয়ার অধিকার দিতে হবে : গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনের চলার পথ হলেও সেই গণতন্ত্র আজ চোরাবালিতে হারিয়ে যেতে বসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবার মিলিত চেষ্টায় রুগ্ন গণতন্ত্রকে সারিয়ে তুলতে হবে। শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ উন্মুক্ত করতে হবে। নির্ভয়ে তাদের পছন্দের প্রতিনিধি বেছে নেয়ার যে অধিকার জনগণ অর্জন করেছে, তা নিরঙ্কুশ রাখতে হবে। জনগণের ভোট আজ বিপন্ন। জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে শাসনতন্ত্র কেটেছিঁড়ে কলঙ্কের নতুন অধ্যায় রচনা করা হয়েছে। এই কলঙ্ক মুছতে হবে। এর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আজ সময়ের চাহিদা ও জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। এ সময় তিনি সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। আ.লীগ সরকারের ব্যর্থতা : দেশের বর্তমান সরকারের বিভিন্ন ব্যর্থতার দিক তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, গ্যাস-বিদ্যুত্-পানি সঙ্কট আমরা কাটিয়ে উঠতে পারছি না। শিল্পায়ন মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। লাখ লাখ বেকার তরুণের চোখে হতাশার কালো ছায়া। মাদকের ভয়াবহ বিস্তারে আমাদের ভবিষ্যত্ প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে এখনও আমরা মানসম্পন্ন ও কর্মমুখী করতে পারিনি। তাই আজ সময় এসেছে অতীতমুখী, আবেগাশ্রয়ী, স্লোগানসর্বস্ব ভুল রাজনীতিকে বর্জন করার। সময় এসেছে হানাহানি, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, ঘৃণা-বিদ্বেষের রাজনীতি পরিহার করার। রাজনীতির নামে চলমান কুত্সা, শঠতা, প্রবঞ্চনা, প্রতারণা, অসত্য প্রচারণা ও হিংসা-বিদ্বেষকে ‘না’ বলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষকে যারা সম্মান করতে জানে না, তাদেরকে মর্যাদার আসন থেকে নামিয়ে দেয়ার সময় এসেছে। দেশের বর্তমান নেতিবাচক অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়া এবং ক্ষমতায় গিয়ে তা ভঙ্গ করার রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। উচ্চকণ্ঠে যত কথাই প্রচার করা হোক না কেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, উন্নয়ন-উত্পাদন, বিনিয়োগ-মুনাফার প্রকৃত অবস্থাটা এখন কী দাঁড়িয়েছে—তা সবাই জানে। শেয়ারবাজারে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে বোঝানো যাবে না হাজারো প্রচারণা চালিয়ে। দুর্নীতি, লুণ্ঠন, চাঁদাবাজির অসহায় শিকার যারা হচ্ছেন, তারা কোনো বক্তৃতায় ভুলবেন না। গ্যাস-বিদ্যুত্-পানি সঙ্কটে দিশেহারা মানুষের কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের বুলি পরিহাস হয়েই থাকবে। কারণ তারা বিদ্যুত্ চায়, মেগাওয়াট-কিলোওয়াটের প্রতারণাপূর্ণ হিসাব শুনতে চায় না। জাতীয় জীবনে গভীর সঙ্কট ঘনিয়ে এসেছে : জাতীয় অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বিরাট ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে গভীর সঙ্কট ঘনিয়ে এসেছে। সামনের দিনগুলো অনিশ্চয়তার এক গভীর অন্ধকারে ঢাকা। সামাজিক শান্তি, স্থিতি, জনগণের নিরাপত্তা ও জাতীয় ঐক্য আজ হুমকির মুখে। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির বিকাশের জন্য এমন পরিস্থিতি কোনো শুভ ইঙ্গিত বয়ে আনে না। এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী বর্তমান হিংসাশ্রয়ী, সঙ্কীর্ণ এক ভুল রাজনীতি। যে অপরাজনীতির শিকার হতে হচ্ছে সারা জাতিকে। এতে আমাদের বর্তমান হচ্ছে সংঘাতময় ও অস্থির। ভবিষ্যত্ হয়ে পড়ছে সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। খালেদা জিয়া বলেন, বিচার বিভাগে চরম দলীয়করণের কারণে নাগরিকরা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘবদ্ধ চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। হাট-বাজার, বন্দরে দলীয় চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ীরা এখন দেশ ছাড়ছেন। ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ব্যবসায়ীদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। ব্যক্তিনিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই। সরকারি ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে দলীয় লোকদের ৯টি ব্যাংক ও ১১টি ইন্স্যুরেন্সের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন, এত টাকা তারা কোথায় পেলেন? তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোকে দলীয়করণ করা হচ্ছে। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের চেষ্টা করছে সরকার। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শেয়ারবাজার লুণ্ঠন করে ১৯৯৬ সালের মতো ৩৩ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে আবারও পথে বসানো হয়েছে। গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংস করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়।উন্নয়নের বুলি শুনে মানুষ বিরক্ত : বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে উঁচুগলায় উন্নয়নের কাল্পনিক প্রচারণা শুনতে শুনতে জনগণের কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। কিন্তু সবকিছু ডুবে যাচ্ছে সঙ্কট ও অনিশ্চয়তার আবর্তে। আগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে সময় লাগত ৬ ঘণ্টা। এখন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লেগে যায়। পরিবহন খরচ দ্বিগুনেরও বেশি হয়ে গেছে। বিএনপি জোট ও আ.লীগ আমলের উন্নয়নের চিত্র : বিএনপি জোট আমল ও বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, দারিদ্র্য হ্রাসের গতি বর্তমান আমলে অনেক ধীর হয়ে গেছে। ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দারিদ্র্য হ্রাসের হার ছিল ৮ দশমিক ৯ শতাংশ। গরিব মানুষের সংখ্যা শতকরা ৪৮ দশমিক ৯ থেকে শতকরা ৪০ জনে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু ২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দারিদ্র্য হ্রাসের হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০০০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে দরিদ্রসীমার নিচে থেকে ওপরে তুলে আনার হার ছিল ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ। কিন্তু ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে এই হার কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশে। অতিদরিদ্রের হার ২০০০ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমানো সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু এখন ২০০৫ থেকে ২০১০ সালে হতদারিদ্র্য হ্রাসের হার নেমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২১ শতাংশে।
আমাদের সরকারের সময় ৬ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৬ দশমিক ১১ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০১২-১৩ সালে সরকার ৬ দশমিক ০৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দাবি করছে। তবে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও আইএমএফের হিসাবে তা ৫ দশমিক ৫ এবং ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। আবার এডিবি বলেছে, এ বছরে ৫ দশমিক ৭ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে না। তিনি বলেন, এতে দেশে দারিদ্র্য বেড়ে যাবে। সঞ্চয় কমে যাবে। বিনিয়োগ কমে যাবে। বেকারত্ব আরও বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার। অথচ গত ৫ বছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০২-০৬ সালে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ১ শতাংশ।
বর্তমান সরকার স্বচ্ছতাহীন কুইক রেন্টাল পদ্ধতির নামে জাতীয় অর্থনীতির ওপর বিরাট বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে করে বিদ্যুতের উত্পাদন খরচ বেড়ে গেছে। সমস্যার মূল কারণ হলো সরকারি দলের লুটপাট ও দুর্নীতি। বক্তব্য দেন যারা : এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লা বুলু। ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিজিএমই সভাপতি আতিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআই’র সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম হায়দার, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক আবু বক্কার, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, পরিবহন মালিক সমিতির সাবেক মহাসচিব সাইফুল ইসলাম, বিকেএমইএ সহ-সভাপতি মো. হাতেম, এফবিসিসিআই পরিচালক জালাল উদ্দিন, ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক শফিউজ্জামান খোকন, রিহ্যাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোবারক হোসেন খান, সিএনজি স্টেশন মালিক সমিতির নেতা জাকির হোসেন নয়ন, বিটিএমএ’র সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান, এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক আফজাল হোসেন, রাজশাহী চেম্বার্স অব কমার্সের সাবেক সভাপতি লুত্ফর রহমান, ফরিদপুর চেম্বার্স অব কমার্স সভাপতি আওলাদ হোসেন বাবর, বায়রার সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, এফবিসিসিআই’র প্রথম সভাপতি কামাল আহমেদ, এসএম ফজলুল হক, উত্তরবঙ্গ পোলট্র্রি অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আমিনুর রশিদ তাপস, ব্যবসায়ী নেতা শাহেদুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ প্রমুখ।
এ সময় দর্শক গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আরএ গনি, ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর বিএনপি সভাপতি সাদেক হোসেন খোকা, আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুক, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী প্রমুখ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সেই দল যারা ১৯৭২-৭৫-এ অঙ্কুরেই দেশকে বিনষ্ট করেছিল। এ সরকার বর্তমানে দেশের সব অর্জনকে ধ্বংস করে অর্থনীতিকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের জনগণ ও অর্থনীতি কোনোটিই ভালো নেই। দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র করতে তারা সবকিছুই করছে।আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগ সামনে যা পায় তাই-ই খায়। এদের কাছে দেশ নিরাপদ নয়। কোনো ষড়যন্ত্রের নির্বাচনে ব্যবসায়ীরা পা দেবেন না উল্লেখ করে তিনি একতরফা নির্বাচন প্রতিহতে বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবেন ও পাশে থাকবেন বলে ঘোষণা দেন।ব্যবসায়ী নেতারা যা বলেন : দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে বায়রা সহ-সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে চেয়ারপারসন যে কর্মসূচি দেবেন, বায়রার পক্ষ থেকে যথাযথভাবে তা পালন করা হবে। ২৫ অক্টোবর থেকে জনগণের আন্দোলনে ব্যবসায়ীরা যোগ দেবেন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থরক্ষায় প্রয়োজনে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি দেয়া হলেও সেখানে ব্যবসায়ীরা সর্বাত্মকভাবে অংশ নেবেন।আতিকুল ইসলাম বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কাজ করেছেন। তার সহধর্মিণীও একইরকম পদক্ষেপ নিয়ে দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করবেন। এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, আগামী ২৫ অক্টোবরের পর দেশে কী হবে—তা নিয়ে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে আছেন। তাই প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাচ্ছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলের দাবি মেনে নিন। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোকাররম হোসেন খান বলেন, ডিটেল এরিয়া প্লান্ট বাস্তবায়নে রিহ্যাবের ১২শ’ সদস্য আপনার পাশে থাকবে।
Share on Google Plus

About juwel ishlam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment