
ভারতের মধ্যপ্রদেশের একটি মন্দিরে পদদলিত হয়ে ৭০ জন নিহত ও পুলিশসহ ১০০ জন আহত হয়েছেন। রোববার সকালে মধ্যপ্রদেশের দাতিয়া জেলায় রতনগড় মন্দিরে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, খোঁজ মেলেনি অনেক পুণ্যার্থীর। তাই হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিভরাজ সিং চৌহান তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এএফপি, হিন্দুস্থান টাইমস, বিবিসি, জিনিউজ। পুলিশ জানিয়েছে, রোববার সকালে মন্দিরের কাছে সিন্ধু নদীর ওপরের সেতু অতিক্রম করার সময় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।পাঁচ লক্ষাধিক পুণ্যার্থী দুর্গাপূজা উপলক্ষে ওই মন্দিরে জড়ো হয়েছিলেন। উত্তর প্রদেশ থেকে আসা একটি দল লম্বা লাইন ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় গুজব রটে নদীর উপর সেতু ভেঙে পড়তে চলেছে। আতংকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাই ছোটাছুটি করতে শুরু করেন। তখনই ভিড়ে পদদলিত হয়ে ৫০ জন মারা যান। বাকিরা সেতু থেকে লাফ দিয়ে মারা যান।এই মন্দিরটি জেলা শহর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে এবং মধ্যপ্রদেশের রাজধানীর ভূপাল থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।একজন ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, এ পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ৬৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও গণনা চলছে। তিনি বলেন, অনেকে হাসপাতালে মারা গেছেন। তাই হতাহতের সংখ্যা তিন অংকের ঘরে পৌঁছতে পারে।পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার দাবি করা হলেও অভিযোগ উঠেছে, হুড়োহুড়ি শুরু হলে পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অনেকে পুলিশের ওপর পাথর ছুড়ে মারে। পাথরের আঘাতে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।উল্লেখ্য, ২০১০ সালে উত্তর প্রদেশের একটি মন্দিরের গেট ভেঙে পড়ার পর পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৬৩ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন। ২০০৮ সালে যোধপুরের বিখ্যাত মেহরানগড় ফোর্টের ভেতরের চামুন্দা দেবী হিন্দু মন্দিরে পদদলিত হয়ে ২২০ জনের বেশি নিহত হন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন