
মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে উঠে আসছে একের পর এক অভিযোগ। কর ফাঁকি, অবৈধ ভিওআইপির অভিযোগ তো রয়েছেই, এবার বাংলালিংকের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে বড়-সড় পুকুরচুরির কেচ্ছা। নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের কাছ থেকে কেটে নিয়েছে ৯২ কোটি টাকা। ১ বছরের বেশি সময় আগে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ওই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিলেও বাংলালিংক তা আমলে নেয়নি। আর এ কারণেই থ্রিজি অনুমোদন দিলেও প্রতিষ্ঠানটিকে কড়া নজরদারির আওতায় রেখেছে বিটিআরসি। প্রাপ্য টাকা ফেরত না পেলে অচিরেই বাংলালিংকের ওপর নেমে আসতে পারে বড় ধরনের খড়্গ। তাতে প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্বই বিপন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রাহকরা। এ কারণে বাংলালিংক ছেড়ে অন্য মোবাইল অপারেটরে চলে যাওয়ারও ধুম পড়েছে গ্রাহকদের মধ্যে। কে আর পকেট খুঁড়ে চোরকে বিলাতে ভালবাসে।
জানা গেছে, অনুমোদন না নিয়ে বাংলালিংক ‘ডেইলি ফ্যাট ট্যারিফ’ প্যাকেজ অফার দিয়ে বাজার থেকে তুলে নিয়েছে ৯২ কোটি টাকা। এটি চালু করতে হলে নিবন্ধন ফি হিসেবে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রথমে কেটে নেওয়া হত ৪ টাকা। সুবিধা হিসেবে গ্রাহক প্রতি মিনিট ৬৫ পয়সা করে কথা বলতে পারতেন। বিষয়টি বিটিআরসির নজরে এলে বাংলালিংককে সতর্ক করা হয়। এরপরও অপারেটরটি প্যাকেজ বন্ধ না করলে বিটিআরসি জরিমানা করে।
এরপর বিটিআরসি হিসাব করে দেখেছে, প্যাকেজ চলাকালে গ্রাহকদের কাছ থেকে বাংলালিংক তুলে নিয়েছে ৯২ কোটি টাকা। বাংলালিংককে পাঠানো আদেশপত্রে নিবন্ধন তালিকা অনুসারে প্রতিটি মোবাইল ফোন থেকে যে পরিমাণ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে, ঠিক সমপরিমাণ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় বিটিআরসি। আর নিয়মবহির্ভূত কাজ করার অপরাধে বাংলালিংককে ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদের সময় ঘটনাটি ঘটে। এছাড়াও বাংলালিংকের বিরুদ্ধে অব্যাহত নেটওয়ার্ক সমস্যার অভিযোগ রয়েছে। এটিও গ্রাহকদের বাংলালিংক ছাড়ার অন্যতম কারণ। গ্রাহকদের অভিযোগ, কথা শেষ করার আগেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে, অথচ টাকা কাটা হচ্ছে ঠিকই। আর চালু করেছন ৩জি ইচ্ছা মত সাধারন মানুষের টাকা কেতে নিচ্ছে ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন