গত ২৮আগষ্ট মালয়েশিয়ার সম্প্রতি অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা বিষয়ে জাতীয় উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় স্মরণকালের সবচেয়ে বড় এই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেও হয়েছে।মালয়েশিয়ার অভিবাসন দপ্তরের পরিচালক আলিয়াস আহমাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ১লা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে পরবর্তী তিন মাস এই অভিযান চলবে।ধারণা করা হয়, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে প্রায় ৫ লাখ অবৈধ বিদেশি শ্রমিক কাজ করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া এবং শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা রয়েছে।আলিয়াস আহমেদ জানান, মালয়েশিয়ায় পাঁচ লাখের মতো অবৈধ অভিবাসী অবস্থান করছে। এদের বেশিরভাগই অপোকৃত কম উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলো থেকে আসা এবং বিশেষ করে প্রতিবেশি ইন্দোনেশিয়া থেকে।
মালয়েশিয়ার শীর্ষস্থানীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য স্টার জানায়, অভিবাসন দপ্তর পরিচালিত এই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর এক লাখ ৩৫ হাজার সদস্য কাজ করবেন।
বিশ্বের অন্য দেশগুলোর তুলনায় অপোকৃত শান্ত রাষ্ট্রটিতে সম্প্রতি অপরাধের মাত্রা খানিকটা বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রতি কালে ট্যুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আসা লোক ফেরত না যাওয়া সহ পারমিটের সুযোগ পেয়েও পারমিট না পাওয়া শ্রমিকদের তালিকা সরকারের কাছে দিন দিন বাড়ছে অবৈধ অধিবাসীর সংখ্যা। আবার এর মধ্যে কয়েক ডজন গুলিবিনিময় ও হতাহতের ঘটনাও রেকর্ড । এ জন্য অবশ্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে থাকে প্রশাসন।অপরাধেরঅভিবাসীদের প্রধান ভূমিকায় না দেখা গেলেও বিপুল সংখ্যক বৈধ কাগজপত্রহীন শ্রমিকের উপস্থিতি মালয়েশিয়ার নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।আলিয়াস বলেন, দুই বছর আগে এই শ্রমিকদের মা করে বৈধ কাগজপত্র করার সুযোগ দেওয়া হলেও তারা সে সুযোগ গ্রহণ করেননি। তাই কর্তৃপ তাদেরকে নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ঘোষণার পর পরই দীর্ঘ এক দুই বছর পর মালয়েশিয়া সরকার অবৈধ শ্রমিকদেও ধরপাড়ক শুরু করেছে। ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন সহ যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ভাবে ধরপাড়ক শুরু করেছে।এালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে অবৈধ শ্রমিকদেও ধরতে ১লা আগস্ট থেকে পুলিশ আর্মফোর্স রেলা ও ইনফোর্সমেন্ট ডিপাঃ ১লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার পারসোনাল নিয়ে গঠিত এটিম বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়ে আসছে। উল্লেখ্য ২০১১সালের ১লা আগষ্ট থেকে মালয়েশিয়া সরকার অবৈধ শ্রমিকদেও বৈধ করার সুযোগ দিয়েছিল। এতে বাংলাদেশী সহ ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, নেপাল ভিয়েতনাম ও অন্যান্য দেশের অবৈধ শ্রমিক ছিল মালশিয়ার ইমিগ্রশেনের হিসাবে প্রায় দুই মিলিয়ন। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য অবৈধ শ্রমিক ছিল ইন্দোনেশিয়ার, দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশী অবৈধ ম্রমিক সম্পর্কে হাইকমিশন লেবার কাউন্সিলর মন্টু কুমার বিশ্বাসের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান-; দুই লক্ষ ষাটষট্টি হাজার শ্রমিক ৬পির আওতায় সুযোগ গ্রহণ করেছিল, আর বাকী ৬২হাজার শ্রমিক বিভিন্ন দালাল ও এজেন্টের মাধ্যমে প্রতারিত হয়ে কোন বৈধ কাগজ পত্র করতে পারেননি এদের বেশীর ভাগ হাই কমিশন থেকে আউট পাস নিয়ে দেশে চজলে গেছেন এবং কিছু এখনো বৈধ হওয়ার আশায় আছেন। আমাদের সর্বশেষ সংগৃহিত তথ্য অনুযায়ী- মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত- কুয়ালালামপুর, জোহর বারু, মালাক্কা, পেনাং, ইপো সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ধরপাড় শুরু এরই মাঝে অবৈধ ভাবে বসবাসকারী শ্রমিকদের মাঝে এক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন