
নগরীর
পশ্চিম প্রান্তের জিয়ানগর এলাকার ৫০ একর জমিতে 'হাইটেক পার্ক' স্থাপন করা
হবে। এতে থাকবে আইটি ভিলেজ ও কৃষি জৈব প্রযুক্তি সুবিধা। এ জন্য ভূমি
অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে উক্ত পার্ক স্থাপিত
হলে বাস্তুহারা হবে জিয়ানগর এলাকার সাড়ে ছয়শতাধিক পরিবার। এনিয়ে উচ্ছেদ
আতঙ্কে দিন কাটছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের। তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের
(রাসিক) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুনর্বাসনের আগে বস্তিবাসিদের উচ্ছেদ নয়।জানা
গেছে, রাজশাহী অঞ্চলের বাসিন্দাদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধাসহ
নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে স্থাপিত হচ্ছে রাজশাহী হাইটেক পার্ক। ওই
পার্কে স্থান পাবে কম্পিউটার, সফটওয়্যার, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার,
কমিউনিকেশন সফটওয়্যার, কমিউনিকেশন হার্ডওয়্যার, আইটিভিত্তিক সেবা, ডিজাইন
অ্যান্ড কনসালটেন্সি, বায়োইন ফরমেটিক্স, ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড
অ্যাসেম্বলিং প্রোডাক্টস, ডিজাইন অ্যান্ড ইলেকট্রনিক প্রোডাক্টস, নিউ
অ্যান্ড অ্যাডভ্যান্সড ম্যাটেরিয়ালস, অটোমোবাইল অ্যান্ড মেটাল
ইন্ডাস্ট্রিজ। এছাড়াও কৃষি জৈব প্রযুক্তি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যসব
প্রযুক্তির সুবিধাও থাকবে এই পার্কে।সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ
সমর্থিত সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের অন্যতম নির্বাচনী
প্রতিশ্রুতি ছিলো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত আইটি ভিলেজ স্থাপন। কিন্তু
পুরো মেয়াদকালে খায়রুজ্জামান লিটন উক্ত প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করতে
পারেননি। সূত্র মতে, ২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
রাজশাহীতে আসলে রাজশাহীতে আইটি ভিলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি জোরালো হয়। এরই
ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর তত্কালীন একান্ত সচিব নজরুল ইসলাম রাজশাহী
সফরকালে জানান, আইটি ভিলেজ নয়, রাজশাহীতে গড়ে তোলা হবে তার চেয়েও
অত্যাধুনিক হাইটেক পার্ক। পরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব
হিসেবে নজরুল ইসলাম খান নিয়োগ পেলে হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্প গতি পায়। অপরদিকে,
হাইটেক পার্ক স্থাপনের জন্য নগরীর পশ্চিম পার্শ্বে জিয়ানগর এলাকাকে
নির্বাচন করায় উচ্ছেদ আতংকে রয়েছেন সেখানকার ৬৬০টি পরিবার। প্রায় একযুগ আগে
পত্তন হওয়ায় ওই এলাকায় আড়াই হাজারের বেশি মানুষের বাস। নগরীর অপেক্ষাকৃত
নিচু এলাকা জিয়ানগর। এবারের বন্যার পানিতে প্ল¬াবিত হয়েছিল পুরো এলাকা।বাসিন্দারা
বলছেন, নদী ভাঙ্গনসহ নানা দুর্যোগের কবলে সহায়-সম্বল হারিয়ে তারা ওই
এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন। এবার হাইটেক পার্ক স্থাপনের জন্য ওই এলাকা থেকে
তাদের উচ্ছেদ করা হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে তাদের।তবে
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল জানান,
যথাযথ পুনর্বাসন ছাড়া জিয়ানগর বস্তি উচ্ছেদ নয়। এছাড়া হাইটেক পার্ক স্থাপন
কার্যক্রম শুরু হলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা আমাদের হাতে এসে পৌঁছেনি।
এলে জিয়ানগরবাসীর পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে।এ ব্যাপারে রাজশাহী
জেলা প্রশাসক মোঃ মেসবাহ উদ্দীন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, জমি
অধিগ্রহণের প্রাথমিক কাজ শেষের পথে। এখন ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ওই জমি
আইসিটি মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করা হবে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই দ্রুততম
সময়ে হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন