স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্যবসায়ীদের নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামার
আহ্বান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, আসুন সবাই মিলে
সংগ্রাম করে ভোটাধিকার আদায় করি। সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সময় দ্রুত
ফুরিয়ে যাচ্ছে, মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন অনুভব করুন। দেশকে হানাহানি ও
অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে না দিয়ে সমঝোতার পথে আসুন। এতে দেশ ও দেশের মানুষ
উপকৃত হবে। মঙ্গলবার বিকেলে শেরেবাংলানগর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন
কেন্দ্রে জাতীয়তাবাদী ঘারানার ব্যবসায়ী সংগঠন বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদ
আয়োজিত মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নির্দলীয়
সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে সারাদেশে কেন্দ্রভিত্তিক সংগ্রাম কমিটি করে
নির্বাচন প্রতিহত করা হবে বলে তিনি আবারও ঘোষণা দেন। এর আগে সিলেটের জনসভায়
তিনি এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে আগামী দিনের যে কোন আন্দোলনে বিএনপির পাশে ব্যবসায়ী সমাজ থাকবে
বলে খালেদা জিয়াকে আশ্বস্ত করেছেন সংগঠনের নেতারা। তাঁরা বলেন, আপনি সরকার
হটানোর ডাক দিন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি বর্তমানে ব্যবসায়ীদের অবস্থা হাত-পা
বেঁধে সাঁতার কাটার মতো মন্তব্য করে তাঁরা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে
ব্যবসায়ীদের পাশে থাকা ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার
অঙ্গীকার চাই। খালেদা জিয় বলেন, গণতন্ত্র আজ চোরাবালিতে হারিয়ে যেতে বসেছে। সবার মিলিত
চেষ্টায় রুগ্ণ গণতন্ত্রকে সারিয়ে তুলতে হবে। শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক
পন্থায় ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ উন্মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, একটি নির্দলীয়
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য
নির্বাচন সময়ের চাহিদা ও জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। তাই আসুন, সবাই মিলে
সোচ্চার হই। ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষা
করি। লিখিত বক্তব্যে তিনি বর্তমাান সরকারের পাঁচ বছরের অপকর্ম-দুর্নীতি
তুলে ধরেন। একদলীয় শাসন দিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণ হয় না মন্তব্য করে খালেদা জিয়া
বলেন, খারাপ রাজনীতি দেশকে সঙ্কটে ফেলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারী
ষড়যন্ত্রে পোশাক শিল্প ধ্বংসের পথে চলছে। সরকারের দুর্নীতির কারণে বেকারত্ব
বেড়েছে এবং ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হওয়ার পথে। তিনি বলেন, বিগত ৫ বছরে মানুষ
শুধু উন্নয়নের গল্প শুনেছে, বাস্তবে কোন উন্নয়ন হয়নি। সময় এসেছে তাদের
ক্ষমতা থেকে সরানোর। নির্দলীয় সরকারের অধীনে প্রতিদ্বন্দ্বিত্বামূলক
নির্বাচন এখন জাতীয় দাবি। তাই আমি আশা করি সরকার সমঝোতার পথে আসবে। তারপরেও
যদি তারা একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে কেন্দ্রভিত্তিক সংগ্রাম
কমিটি গঠন করে সেই নির্বাচন সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করব। খালেদা জিয়া বলেন, রাজনীতি হতে হবে ঐক্যের, ঘৃণা, বিদ্বেষত, বিভাজনের নয়।
তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান রাজনীতি হচ্ছে সংঘাতময়, ভবিষ্যত হয়ে পড়েছে
সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। ব্যবসায়ীদের সমাবেশে এসে রাজনীতির কথা কেন বলছি। কারণ
আধুনিক যুগে রাজনীতি থাকে জাতীয় নেতৃত্বের আসনে। এই রাজনীতিই অর্থনীতিসহ
সমাজের অন্য প্রায় সব অঙ্গন ও তৎপরতাকে স্পর্শ ও প্রভাবিত করে। এই রাজনীতি
যদি ঠিক না হয় তাহলে কোন কিছুই ঠিক মতো চলবে না। তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি
হতে হবে সঠিক এবং সুন্দর যুক্তিনির্ভর ও মেধাচর্চিত। এ সমস্যা সঙ্কটে দেশে
অতীতমুখী রাজনীতি আমাদের পেছনে ঠেলে দিতে পারে।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশে অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারের আক্রমণাত্মক পরিবেশেও আমরা ধৈর্য ধরে আছি। আমরা নতুন ধারার রাজনীতি ও নতুন ধারার সরকার গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্ষমতায় গেলে মেধাকে সর্বোচ্চ যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করব। দুর্নীতি-সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেব না। সবাইকে নিয়ে গড়ে তুলব জাতীয় ঐক্য। ব্যবসাবান্ধব সরকার করব। আমরা নষ্ট রাজনীতি না করে উন্নত রাজনীতির চর্চা করব।খালেদা জিয়া বলেন, দেশে বিচার বিভাগের দলীয়করণের কারণে নাগরিকরা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘবদ্ধ চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। হাট-বাজার, বন্দরে দলীয় চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ীরা এখন দেশ ছাড়ছেন। সরকারী ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে দলীয় লোকদের ৯টি ব্যাংক ও ১১টি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি অনুমতি দেয়া হয়েছে। এত টাকা তারা কোথায় পেলেন। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোকে দলীয়করণ করা হচ্ছে। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের চেষ্টা করছে সরকার। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। কিন্তু সে হারে মজুরি বাড়েনি। গরিব মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। কৃষক এখন তাদের ফসলের ন্যায্য দাম পায় না। আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি এখনও বলছি তাদের দায়িত্বশীল হতে, মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন অনুভব করা আহ্বান জানাব। দেশবাসীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, একদলীয় শাসনের অবসান ঘটতে আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। তারপর সামনে সুদিন আসছে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালাম মোর্শেদী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আব্দুল মোতালেব, বাংলাদেশে টেক্সটাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান, ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি শহিদুজ্জামান খান, রিহ্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি মোকাররম হোসেন খান, উত্তরবঙ্গ পোল্ট্রি এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রশিদ তাপস, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এ্যাসোসিয়েশনের লুৎফর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আফজাল হোসেন, ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আওলাদ হোসেন বাবর, বায়রার সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, বিজিএমইএর সাবকে সভপাতি এসএম ফজলুল হক, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ, ব্যবসায়িক নেতা শাহেদুর রহমান ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সভাপতি জাকির হোসেন। উল্লেখ্য, সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যবসায়ীদের পাশে রাখতে বিএনপি সমর্থক ব্যবসায়ীরা সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদ নামে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতিদের মধ্যে চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, মাহবুবুর রহমান, এমএ কাশেম, আকরাম হোসেন, মীর নাসির হোসেন, ফরেন ইনভেস্টমেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের নেতা অলিউর রহমান, টেক্সটাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এমএ আউয়ালসহ শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতা ও বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি সফিউল আলম খোকন বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। রিহ্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি মোবারক হোসেন খান বলেন, আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা ভাল নেই। ৩৪ হাজার এ্যাপার্টমেন্ট অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০১০ সাল থেকে গ্যাস-বিদ্যুত পাচ্ছি না। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তবে এ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আমরা মনে করছি। বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাকির হোসেন নয়ন বলেন, আমরা হরতাল করতে চাই না। তবু সরকারের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকতে হয়েছে। ৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আজ হুমকির মুখে। এ খাতে চলছেচরমঅব্যবস্থাপনা।বিএনপির সহ-কোষাধ্যক্ষ ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, দেশে ক্রান্তিকাল চলছে। অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। মানুষ আজ উদ্বিগ্ন। এমন পরিস্থিতিতে দেশের নেতৃত্বদানের দায়িত্ব নিতে হবে বিএনপিকে। বক্তব্যের এক পর্যায়ে ফজলুল হক খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বলে সম্বোধন করলে কেউ তাকে ভুল ধরিয়ে না দিয়ে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় মঞ্চে বসে খালেদা জিয়াও হাসতে থাকেন। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে না। শিল্প কারখানা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। শেয়ারবাজার লুটপাট করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে লুটপাটের আখড়া বানানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা ব্যবসায়ীরা চুপ থাকতে পারি না। নির্বাচন নিয়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার সমাধান চাই।
খালেদা জিয়া বলেন, দেশে অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারের আক্রমণাত্মক পরিবেশেও আমরা ধৈর্য ধরে আছি। আমরা নতুন ধারার রাজনীতি ও নতুন ধারার সরকার গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্ষমতায় গেলে মেধাকে সর্বোচ্চ যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করব। দুর্নীতি-সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেব না। সবাইকে নিয়ে গড়ে তুলব জাতীয় ঐক্য। ব্যবসাবান্ধব সরকার করব। আমরা নষ্ট রাজনীতি না করে উন্নত রাজনীতির চর্চা করব।খালেদা জিয়া বলেন, দেশে বিচার বিভাগের দলীয়করণের কারণে নাগরিকরা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সংঘবদ্ধ চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। হাট-বাজার, বন্দরে দলীয় চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ীরা এখন দেশ ছাড়ছেন। সরকারী ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে দলীয় লোকদের ৯টি ব্যাংক ও ১১টি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি অনুমতি দেয়া হয়েছে। এত টাকা তারা কোথায় পেলেন। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোকে দলীয়করণ করা হচ্ছে। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংসের চেষ্টা করছে সরকার। এসব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। কিন্তু সে হারে মজুরি বাড়েনি। গরিব মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। কৃষক এখন তাদের ফসলের ন্যায্য দাম পায় না। আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি এখনও বলছি তাদের দায়িত্বশীল হতে, মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন অনুভব করা আহ্বান জানাব। দেশবাসীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, একদলীয় শাসনের অবসান ঘটতে আর মাত্র কয়েকটি দিন বাকি। তারপর সামনে সুদিন আসছে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক জালাল উদ্দিন, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালাম মোর্শেদী, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আব্দুল মোতালেব, বাংলাদেশে টেক্সটাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান, ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি শহিদুজ্জামান খান, রিহ্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি মোকাররম হোসেন খান, উত্তরবঙ্গ পোল্ট্রি এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুর রশিদ তাপস, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এ্যাসোসিয়েশনের লুৎফর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আফজাল হোসেন, ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আওলাদ হোসেন বাবর, বায়রার সহসভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন, বিজিএমইএর সাবকে সভপাতি এসএম ফজলুল হক, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ, ব্যবসায়িক নেতা শাহেদুর রহমান ও সিএনজি ফিলিং স্টেশনের সভাপতি জাকির হোসেন। উল্লেখ্য, সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যবসায়ীদের পাশে রাখতে বিএনপি সমর্থক ব্যবসায়ীরা সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যবসায়ী পরিষদ নামে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতিদের মধ্যে চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, মাহবুবুর রহমান, এমএ কাশেম, আকরাম হোসেন, মীর নাসির হোসেন, ফরেন ইনভেস্টমেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের নেতা অলিউর রহমান, টেক্সটাইল মিলস এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এমএ আউয়ালসহ শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি নেতা ও বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি সফিউল আলম খোকন বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে। রিহ্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি মোবারক হোসেন খান বলেন, আবাসন খাতের ব্যবসায়ীরা ভাল নেই। ৩৪ হাজার এ্যাপার্টমেন্ট অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০১০ সাল থেকে গ্যাস-বিদ্যুত পাচ্ছি না। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তবে এ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আমরা মনে করছি। বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাকির হোসেন নয়ন বলেন, আমরা হরতাল করতে চাই না। তবু সরকারের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকতে হয়েছে। ৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আজ হুমকির মুখে। এ খাতে চলছেচরমঅব্যবস্থাপনা।বিএনপির সহ-কোষাধ্যক্ষ ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, দেশে ক্রান্তিকাল চলছে। অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। মানুষ আজ উদ্বিগ্ন। এমন পরিস্থিতিতে দেশের নেতৃত্বদানের দায়িত্ব নিতে হবে বিএনপিকে। বক্তব্যের এক পর্যায়ে ফজলুল হক খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বলে সম্বোধন করলে কেউ তাকে ভুল ধরিয়ে না দিয়ে করতালি দিয়ে স্বাগত জানান। এ সময় মঞ্চে বসে খালেদা জিয়াও হাসতে থাকেন। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে না। শিল্প কারখানা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। শেয়ারবাজার লুটপাট করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে লুটপাটের আখড়া বানানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা ব্যবসায়ীরা চুপ থাকতে পারি না। নির্বাচন নিয়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তার সমাধান চাই।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন