বিরোধী দলের নেতাদের চোর বানালেন






বিএনপি চেয়ারপাসন ও বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যার চুরি করার অভ্যাস তিনি সবাইকে চোর ভাবেনযে নিজে মানুষ খুন করে, তিনি অন্য সবাইকে খুনি ভাবেনতিনি বলেন, ৫টি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়েছেনির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেঅথচ বিজয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেত্রী বলেছেন এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নিতাহলে তাদের প্রার্থী জিতল কি করেতারা নিজেরা চুরি, লুটপাট, দুর্নীতি ও ভোট কারচুপি করেন তাই অন্যদেরও চোর ভাবেনসোমবার বিকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন মতবিনিময় সভায় ঠাকুরগাঁও, কক্সবাজার, বাগেরহাট, গাইবান্ধা, ফেনী, সিরাজগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলা এবং জেলাধীন থানা, উপজেলা ও ১ম শ্রেণীর পৌর শাখার
সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেনঅপপ্রচারকারী ও দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ শান্তিতে আছে, অশান্তিতে শুধু একজনই আছেনতিনি হলেন বিরোধীদলীয় নেতাখালেদা জিয়ার ভিন্ন ধারার সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া সব উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়ে, বিদ্যুৎ ও খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে ভিন্নভাবে দেশ চালাবেনতিনি নতুন ভবন খুলে, দুর্নীতি, লুটপাট করতে ভিন্ন ধারার সরকার গঠন করতে চানরামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে বলে অনেকে মায়াকান্না করছেসুন্দরবন ছোট একটা জায়গা নাএ সম্পর্কে ওনাদের ধারণা নেইবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি শেখ হাসিনা
বলেন, দিনাজপুরের বড়পুুকুরিয়া কয়লা খনি রয়েছেসেখানে মানুষ বাস করেতাদের কোনো ক্ষতি হচ্ছে নাআজকে যারা সুন্দরবন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদের মানুষের জন্য দরদ নেইতারা সুন্দরবনের জন্য দরদ দেখাচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা তো বলেছেন তিনি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতেই দিবেন না আসলে তার কোনো উন্নয়নই পছন্দ হয় নাখালেদা জিয়া জামায়াত ও হেফাজতকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাবেন আশংকা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, হেফাজত তেঁতুল তত্ত্ব হাজির করেছেতার মানে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারা মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেবেন, মেয়েরা চাকরি করতে পারবে নাতারা দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবেযুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, রায়ও আসছে উল্লেখ করে আবার দৃঢ়ভাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রায় কার্যকর হবেই
সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এইচটি ইমাম, মোহাম্মদ নাসিম, সতীশ চন্দ্র রায়, কাজী জাফরউল্লাহ, নূহ-উল-আলম লেনিন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবউল আলম হানিফ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, অ্যাডভোকেট মৃণালকান্তি দাস প্রমুখশিশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধের আহ্বানবাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের প্রতি সব ধরনের নিষ্ঠুরতা বন্ধের আহ্বানজানিয়েবলেছেন, তাদের সঙ্গে আমরা যে রকম ব্যবহার করব, তারা সেভাবেই গড়েউঠবেপ্রধানমন্ত্রীশিশুদের দেশের মূল্যবান নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের প্রত্যেককে নির্যাতন থেকে রক্ষা ও তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানতিনি সোমবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিশু দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণকালে এ কথা বলেনশেখ হাসিনা বলেন, শিশুরা আগামী দিনের নেতা এবং সব সম্ভাবনার আধার হওয়ায় তাদের অধিকার সংরক্ষণ ও তাদেরকে উত্তম আদর্শের সঙ্গে গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ শিশু ও মহিলাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. প্যাসকল ভিল্লেনিউভে বক্তৃতা করেনবর্তমানে সরকারি সহায়তায় শিক্ষারত দুই সুবিধাবঞ্চিত শিশু অথৈ ও ফয়সাল অনুষ্ঠানে বক্তৃতা এবং দর্শকদের সঙ্গে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেনশিশুরা নরম কাদামাটির মতোউল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমরা যে রকম ব্যবহার করব তারা সেভাবেই বেড়ে উঠবেতাদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার জন্য আদর, ভালোবাসা এবং শারীরিক ও মানসিক যতœ প্রয়োজনশিশুরা বড়দের কাছ থেকে সব সময় বন্ধুসুলভ ব্যবহার আশা করেশারীরিক শাস্তি তাদের সৃজনশীলতাকে সংকুচিত করেএজন্য তাদের শারীরিক শাস্তি দেয়ার মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবেবিশেষ করে গৃহস্থালী কাজে নিয়োজিতসহ সব শিশুর প্রতি সব ধরনের নিষ্ঠুরতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারা যেন খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার অধিকার ও তাদের শিশু বয়সের আকাক্সক্ষা পূরণ থেকে বঞ্চিত না হয়প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জামালপুর যাচ্ছেন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার জামালপুর যাচ্ছেনতিনি জেলার ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি ইন্সটিটিউট প্রকল্প এবং বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সম্প্রসারিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি ইন্সটিটিউট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবেএ লক্ষ্যে উপজেলায় ৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছেসূত্র জানায়, অধ্যক্ষের বাসভবন, স্টাফ কোয়ার্টার, পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক হোস্টেল এবং একাডেমিক ভবনসহ এ প্রকল্পের কাজ ২০১৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবেঅন্যদিকে স্বাস্থ্যপ্রকৌশল বিভাগ জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য ৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে২০১৪ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে
Share on Google Plus

About juwel ishlam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment