
সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। অপপ্রচারকারী ও দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ শান্তিতে আছে, অশান্তিতে শুধু একজনই আছেন। তিনি হলেন বিরোধীদলীয় নেতা। খালেদা জিয়ার ভিন্ন ধারার সরকারের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া সব উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়ে, বিদ্যুৎ ও খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে ভিন্নভাবে দেশ চালাবেন। তিনি নতুন ভবন খুলে, দুর্নীতি, লুটপাট করতে ভিন্ন ধারার সরকার গঠন করতে চান।রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে বলে অনেকে মায়াকান্না করছে। সুন্দরবন ছোট একটা জায়গা না। এ সম্পর্কে ওনাদের ধারণা নেই। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে পরিবেশবান্ধব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা
বলেন, দিনাজপুরের বড়পুুকুরিয়া কয়লা খনি রয়েছে। সেখানে মানুষ বাস করে। তাদের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। আজকে যারা সুন্দরবন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদের মানুষের জন্য দরদ নেই। তারা সুন্দরবনের জন্য দরদ দেখাচ্ছেন। বিরোধীদলীয় নেতা তো বলেছেন তিনি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতেই দিবেন না। আসলে তার কোনো উন্নয়নই পছন্দ হয় না। খালেদা জিয়া জামায়াত ও হেফাজতকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাবেন আশংকা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, হেফাজত তেঁতুল তত্ত্ব হাজির করেছে। তার মানে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারা মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেবেন, মেয়েরা চাকরি করতে পারবে না। তারা দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, রায়ও আসছে উল্লেখ করে আবার দৃঢ়ভাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রায় কার্যকর হবেই।
এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এইচটি ইমাম, মোহাম্মদ নাসিম, সতীশ চন্দ্র রায়, কাজী জাফরউল্লাহ, নূহ-উল-আলম লেনিন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবউল আলম হানিফ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, অ্যাডভোকেট মৃণালকান্তি দাস প্রমুখ।শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধের আহ্বানবাসস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের প্রতি সব ধরনের নিষ্ঠুরতা বন্ধের আহ্বানজানিয়েবলেছেন, তাদের সঙ্গে আমরা যে রকম ব্যবহার করব, তারা সেভাবেই গড়েউঠবে।প্রধানমন্ত্রীশিশুদের দেশের মূল্যবান নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের প্রত্যেককে নির্যাতন থেকে রক্ষা ও তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।তিনি সোমবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব শিশু দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণকালে এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, শিশুরা আগামী দিনের নেতা এবং সব সম্ভাবনার আধার হওয়ায় তাদের অধিকার সংরক্ষণ ও তাদেরকে উত্তম আদর্শের সঙ্গে গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশু ও মহিলাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ড. প্যাসকল ভিল্লেনিউভে বক্তৃতা করেন। বর্তমানে সরকারি সহায়তায় শিক্ষারত দুই সুবিধাবঞ্চিত শিশু অথৈ ও ফয়সাল অনুষ্ঠানে বক্তৃতা এবং দর্শকদের সঙ্গে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। ‘শিশুরা নরম কাদামাটির মতো’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমরা যে রকম ব্যবহার করব তারা সেভাবেই বেড়ে উঠবে। তাদের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার জন্য আদর, ভালোবাসা এবং শারীরিক ও মানসিক যতœ প্রয়োজন। শিশুরা বড়দের কাছ থেকে সব সময় বন্ধুসুলভ ব্যবহার আশা করে। শারীরিক শাস্তি তাদের সৃজনশীলতাকে সংকুচিত করে। এজন্য তাদের শারীরিক শাস্তি দেয়ার মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে গৃহস্থালী কাজে নিয়োজিতসহ সব শিশুর প্রতি সব ধরনের নিষ্ঠুরতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তারা যেন খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার অধিকার ও তাদের শিশু বয়সের আকাক্সক্ষা পূরণ থেকে বঞ্চিত না হয়।প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জামালপুর যাচ্ছেন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার জামালপুর যাচ্ছেন। তিনি জেলার ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি ইন্সটিটিউট প্রকল্প এবং বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সম্প্রসারিত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্যপ্রযুক্তি ইন্সটিটিউট প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এ লক্ষ্যে উপজেলায় ৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।সূত্র জানায়, অধ্যক্ষের বাসভবন, স্টাফ কোয়ার্টার, পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক হোস্টেল এবং একাডেমিক ভবনসহ এ প্রকল্পের কাজ ২০১৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। অন্যদিকে স্বাস্থ্যপ্রকৌশল বিভাগ জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ৩১ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য ৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ২০১৪ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন