চ্ছে সরকারি দল। বিরোধী দল ও পক্ষের
সমালোচনা থাকলেও সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ীই কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।
বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে সরকার নির্বাচন করতে চায়-এমন অভিযোগের মধ্যে নির্বাচন
কমিশনের সামপ্রতিক উদ্যোগ ও কমিশনারদের বক্তব্যে তাদের প্রতি আস্থা ও
বিশ্বাসের ক্ষেত্রে নানামুখী প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী
২৪শে অক্টোবর বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। ২৫শে অক্টোবর থেকে হবে
নির্বাচনকালীন সরকার। তবে ওই সরকারের মন্ত্রিসভা কেমন থাকবে, কত সদস্যের
হবে, দায়িত্ব কেমন থাকবে- এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোন
ধারণা দেয়া হয়নি। নির্বাচনকালে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো সরকার না
নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে এ নিয়েও কোন আলোচনা হয়নি। বিরোধী দল ও জোট
দাবি করে আসছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তা না
হলে ২৪শে অক্টোবরের পরে কঠোর আন্দোলনের হুমকিও দেয়া হয়েছে। নির্বাচন বিষয়ে
সমঝোতায় আসার জন্য বন্ধু রাষ্ট্র ও দাতা সংস্থাগুলো দীর্ঘ দিন থেকে পরামর্শ
দিয়ে এলেও এ পর্যন্ত দুই জোটের মধ্যে আলোচনার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি।
সর্বশেষ নির্বাচন ইস্যুতে আলোচনার শেষ সুযোগ ছিল জাতীয় সংসদের আসন্ন
অধিবেশন। কিন্তু এ অধিবেশনে বিরোধী দল এ পর্যন্ত অংশ নেয়নি। বাকি সময়ে অংশ
নেবে এমন কোন ইঙ্গিতও নেই। তাই সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানের কোন সম্ভাবনা
দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে এমন অনিশ্চয়তার
মধ্যেই পুরো নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। পুরোদমে
প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে দলটির পক্ষ থেকে। চলতি মাসের মধ্যেই দলীয় প্রার্থী
চূড়ান্তকরণের কাজ সম্পন্ন করতে চাইছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন