লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক
পবিত্র
হজ্বব্রত পালন করার উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ পাকের মেহমানরা এখন পবিত্র
মক্কা আর মদিনা মুনাওয়ারায় ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল রয়েছেন। গতকাল পহেলা
জিলহজ্ব থেকেই তাদের আট জিলহজ্ব দিনটির জন্য অপেক্ষার পালা শেষ হতে শুরু
করেছে।মুসলমান ধর্মের পঞ্চম এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হচ্ছে
হজ্ব। আর হজ্ব হলো একটি সমন্বিত ইবাদত। এতে একদিকে যেমন জান, মাল ও সময়ের
খরচ জড়িত, অন্যদিকে জড়িত এলেম, এখলাস, তাকওয়া এবং পরহেজগারী। হাদিসে আখেরী
নবীর (সা.) কথা যেভাবে বলা হয়েছে তা হলো, 'যে হজ্ব আদায় করার পর গুনাহ এবং
অন্যান্য ত্রুটি থেকে মুক্ত থাকবে তার জন্য পুরস্কার বেহেশত ছাড়া আর কিছুই
নয়'। হজ্ব গুনাহকে এমনভাবে দূর করে দেয় যেভাবে আগুন লোহার মরিচাকে
বিদূরিতকরে।হজ্বের উদ্দেশ্যে যাত্রার সময় সবাই নিজে জেনে-বুঝে ও
অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে ধারণা নিয়ে খুবই সতর্কতা ও যত্নের
সাথে এবং হিসাব করে তাঁদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও পাথেয় সাথে নিয়ে যান।
পাথেয় সংগ্রহ ও সাথে রাখার উদ্দেশ্য এটাই যে, যাতে আল্লাহর ঘরে নিরাপদে
পৌঁছতে এবং সেখানে সব অনুষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে আদায় করতে এগুলোর সাহায্য
নেয়া যায়। এটিও আখেরাতে আল্লাহর সামনে দাঁড়ানোর প্রস্তুতির কথা হাজীদের
মনে করিয়ে দেয়। (পবিত্র কোরআনের সূরা আল-বাকারাহ'র ১৯৭ আয়াত)হাদিসে
বলা হয়েছে, হজ্বের উদ্দেশ্যে ভ্রমণের বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক সমস্যা, বাধা,
পরিশ্রম ও কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়। আর তা হলো ঠিক যেন দুনিয়া থেকে
আখেরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রার মতোই। সেখানে একজন মানুষের সামনে থাকে যে
কোনো সময় মৃত্যুর দুশ্চিন্তা, কবরের জীবন, হাশরের ময়দানে একত্রিত হওয়া,
জবাবদিহি, হিসাব-নিকাশ, মীযান (তুলাদণ্ড), আস্?-সীরাত (জাহান্নামের ওপর এক
সেতু, যার ওপর দিয়ে সবাইকে যেতে হবে)। তারপর জান্নাত অথবা জাহান্নাম। চির
সৌভাগ্যবানকে সেদিন মহান আল্লাহই রক্ষা করবেন।রাসূলুল্লাহ (সা.)
প্রথমে মসজিদুল আকসাকে মুসলমানদের কেবলা হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন পূর্ববর্তী
ধর্মের সুন্নত হিসাবে। হিজরতের সাড়ে ষোল মাস পর আল্লাহ পবিত্র কাবাকে
মুসলমানদের কেবলা মনোনীত করলেন। সে থেকে কেয়ামত পর্যন্ত বিশ্ব মুসলিমের
জন্য পবিত্র কাবা শরিফ এক ও অভিন্ন কেবলা বা কেন্দে থাকবে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন