১৮
দলের 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি' কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন গতকালও বাড়ি থেকে বের
হতে পারেননি বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা কর্মীরা জানিয়েছেন, বের হওয়ার জন্য
প্রস্তুত ছিলেন তিনি। তবে পুলিশি বাধা ও বাড়ির সামনের সড়ক বালুভর্তি ট্রাক
দিয়ে আটকে রাখার কারণে তিনি বের হতে পারেননি। বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে
গতকাল তাঁর গুলশানের বাসভবনে দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার
রবার্ট গিবসন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের
মবিন চৌধুরী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের দুই উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ
উদ্দিন আহমদ। পুলিশের কড়া অবস্থান এবং সড়ক আটকে রাখার মধ্যেই সন্ধ্যা ৫টা
২০ মিনিটে বেগম জিয়ার বাসভবনে এসে উপস্থিত হন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। বৈঠক
শেষে পৌনে ৭টার দিকে বের হয়ে যান গিবসন। তবে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে
কোনো কথা বলেননি।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার আসার আগে ৪টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাড়িতে যান রিয়াজ রহমান। এর দুই মিনিট পর আসেন সাবিহ উদ্দিন আহমেদ। খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনের সড়কে পুলিশের ব্যারিকেডের পাশ দিয়ে ঢুকতে গেলে প্রথমে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। পরে পুলিশের এক কর্মকর্তা এসে তাদের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেন।
গতকালও খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনের সড়কের দুই প্রান্তে দুটি করে চারটি বালুভর্তি ট্রাক আড়াআড়ি করে পথ আটকে রাখা হয়। ব্রিটিশ হাইকমিশনার যখন আসেন তখন পূর্বদিকে থাকা দুটি ট্রাকের একটি কিছুটা সরিয়ে তার গাড়ি যাওয়ার জায়গা করে দেয়া হয়। তিনি যখন বের হন তখনও একইভাবে তার গাড়ি বের হতে দেয়া হয়।
শুক্রবার গুলশানের ওই বাসা ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানোর পর গতকালই প্রথম বিএনপির কোনো নেতাকে খালেদা জিয়ার বাসায় ঢুকতে দেয়া হয়।
বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) এম এ লতিফ গতকাল বিকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলেও পুলিশ তাকে ফিরিয়ে দেয়। বেলা ১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে এসে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, রাশেদা বেগম হীরা এমপি ও সাবেক এমপি হালিমা নেওয়াজ আর্লি। সেলিমা রহমান উপস্থিত পুলিশকে লক্ষ্য করে বলেন, 'আমরা ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। দেখা করতে না দিলে আমরা চলে যাবো। ১০ মিনিট পর দুপুর দেড়টার দিকে তাদের তিনজনকে আটক করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর বেলা দুইটার দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
পুলিশের সংখ্যা বেড়েছে
খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে গতকাল পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। র্যাবের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক সদস্যও মোতায়েন ছিল গতকাল। বাড়ির সামনে তিন সারিতে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। দুপুরে ও বিকালে দু'দফা পুলিশের পাহারা বাড়ানো হয়। নতুন করে যোগ দেয় আরও দুই প্লাটুন পুলিশ। বাড়ির উল্টোদিকের সড়কে রাখা ছিল পুলিশের জলকামান। আর আশপাশের সকল গলির মুখে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আট প্লাটুন পুলিশ শনিবার রাত থেকে বিরোধী দলীয় নেতার বাড়ির 'নিরাপত্তায় নিয়োজিত' আছেন। গতকাল তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
সাংবাদিকদের দূরে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ
কয়েকদিন সাংবাদিকরা বিএনপি চেয়ারপারসনের বাড়ির মূল ফটকের সামনে অবস্থান করতে পারলেও গতকাল সকালে তাদের দূরে সরিয়ে সড়কের দুই প্রান্তে ব্যারিকেড দিয়ে দেয় পুলিশ। গুলশান জোনের উপকমিশনার লুত্ফুল কবির গতকাল সকালে এসে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনের সামনে রাখা ট্রাকের ওপর থেকেও সংবাদকর্মীদের নেমে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি বলেন, 'বিরোধী দলীয় নেতা ও সংবাদকর্মী উভয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের ট্রাকের ওপর থেকে নেমে যাওয়া উচিত।'
ব্রিটিশ হাইকমিশনার আসার আগে ৪টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাড়িতে যান রিয়াজ রহমান। এর দুই মিনিট পর আসেন সাবিহ উদ্দিন আহমেদ। খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনের সড়কে পুলিশের ব্যারিকেডের পাশ দিয়ে ঢুকতে গেলে প্রথমে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা। পরে পুলিশের এক কর্মকর্তা এসে তাদের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেন।
গতকালও খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনের সড়কের দুই প্রান্তে দুটি করে চারটি বালুভর্তি ট্রাক আড়াআড়ি করে পথ আটকে রাখা হয়। ব্রিটিশ হাইকমিশনার যখন আসেন তখন পূর্বদিকে থাকা দুটি ট্রাকের একটি কিছুটা সরিয়ে তার গাড়ি যাওয়ার জায়গা করে দেয়া হয়। তিনি যখন বের হন তখনও একইভাবে তার গাড়ি বের হতে দেয়া হয়।
শুক্রবার গুলশানের ওই বাসা ঘিরে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানোর পর গতকালই প্রথম বিএনপির কোনো নেতাকে খালেদা জিয়ার বাসায় ঢুকতে দেয়া হয়।
বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) এম এ লতিফ গতকাল বিকালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে গেলেও পুলিশ তাকে ফিরিয়ে দেয়। বেলা ১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে এসে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, রাশেদা বেগম হীরা এমপি ও সাবেক এমপি হালিমা নেওয়াজ আর্লি। সেলিমা রহমান উপস্থিত পুলিশকে লক্ষ্য করে বলেন, 'আমরা ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। দেখা করতে না দিলে আমরা চলে যাবো। ১০ মিনিট পর দুপুর দেড়টার দিকে তাদের তিনজনকে আটক করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর বেলা দুইটার দিকে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
পুলিশের সংখ্যা বেড়েছে
খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে গতকাল পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়েছে। র্যাবের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক সদস্যও মোতায়েন ছিল গতকাল। বাড়ির সামনে তিন সারিতে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। দুপুরে ও বিকালে দু'দফা পুলিশের পাহারা বাড়ানো হয়। নতুন করে যোগ দেয় আরও দুই প্লাটুন পুলিশ। বাড়ির উল্টোদিকের সড়কে রাখা ছিল পুলিশের জলকামান। আর আশপাশের সকল গলির মুখে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। গুলশান থানার ওসি রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আট প্লাটুন পুলিশ শনিবার রাত থেকে বিরোধী দলীয় নেতার বাড়ির 'নিরাপত্তায় নিয়োজিত' আছেন। গতকাল তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
সাংবাদিকদের দূরে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ
কয়েকদিন সাংবাদিকরা বিএনপি চেয়ারপারসনের বাড়ির মূল ফটকের সামনে অবস্থান করতে পারলেও গতকাল সকালে তাদের দূরে সরিয়ে সড়কের দুই প্রান্তে ব্যারিকেড দিয়ে দেয় পুলিশ। গুলশান জোনের উপকমিশনার লুত্ফুল কবির গতকাল সকালে এসে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনের সামনে রাখা ট্রাকের ওপর থেকেও সংবাদকর্মীদের নেমে যাওয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি বলেন, 'বিরোধী দলীয় নেতা ও সংবাদকর্মী উভয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের ট্রাকের ওপর থেকে নেমে যাওয়া উচিত।'
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন