বৃহস্পতিবার দুপুরে কাজী জাফর আহমদকে দল থেকে বহিষ্কার' করা হয়েছে বলে সমকালকে জানিয়েছেন এইচএম এরশাদ।
এরপর বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাজী জাফর আহমদ সংবাদ সম্মেলন করে এরশাদকে বহিষ্কারের' ঘোষণা দেন।এ সময় কাজী জাফর একটি পড়ে শোনান।
তিনি বলেন, "আমাকে এরশাদের বহিষ্কারাদেশ অবৈধ। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যকে বহিষ্কার করতে হলে প্রেসিডিয়াম সদস্যদের অনুমোদন লাগে। কিন্তু এরশাদ একক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।"বহিষ্কাদেশে বলা হয়েছে, "গঠনতন্ত্রের ৩৭ ধারা মোতাবেক দলের চেয়ারম্যান পদ হইতে অপসারনটি অবিলম্বে জাতীয় কাউন্সিলের বিশেষ অধিবেশনে গৃহিত হবে। গঠনতন্ত্রের ৩৭ (৪) ধারা মোতাবেক আপনাকে অপসারণ পূর্বক ৩৭(৫) ধারায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে জাতীয় পার্টির সুমহান মর্যাদা, ঐক্য ও সংহতি পুনঃপ্রষ্টিত করা হবে। আপনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পদে থাকার সকল প্রকার অধিকার হারিয়েছেন। আপনাকে দলের সকল পর্যায়ে কোন প্রকার অংশগ্রহণ করা হইতে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।এরশাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে গত শনিবার গণমাধ্যমে একটি বিবৃতি পাঠান সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ।বিবৃতিতে এরশাদের বিরুদ্ধে 'বিশ্বাসঘাতকার' অভিযোগ এনে কাজী জাফর বলেন, "এরশাদ দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেওয়া ও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।"পরদিন কাজী জাফরের ওই বিবৃতির প্রসঙ্গ তুলে এরশাদ বলেন, "জাতীয় পার্টিতে কোনো ভাঙন নেই। ওই বিবৃতি ওর [কাজী জাফরের] নিজের কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।"সেদিন এরশাদ আশা প্রকাশ করেন, "যদি কাজী জাফর ওই বিবৃতি দিয়েও থাকে তাতেও সে [জাফর] জাতীয় পার্টি ছাড়বে না।"
এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার তাকে জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এর আগে গত মঙ্গলবার দলের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মুজিবুর রহমান যুক্তিবাদী জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন