৫৮
সদস্যের মন্ত্রিসভায় যোগ দিলেন আরও আটজন। উপদেষ্টাসহ এখন
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা দাঁড়াল ৬৬। মূলত ‘নির্বাচনকালীন সরকার’
গঠনের উদ্দেশ্যে গতকাল ছয়জন মন্ত্রী ও দুজন প্রতিমন্ত্রীকে শপথ পড়ানো
হয়। এটিকে ‘সর্বদলীয় সরকার’ বলা হলেও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এতে যোগ
দেয়নি।
জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মহা-উৎসাহে অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দিয়েছে। ৩০ জন সাংসদ নিয়ে জাপা মহাজোট সরকারে যোগ দিয়ে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিল একটি। এখন তা বেড়ে হলো সাত।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গতকাল বিকেলে বঙ্গভবনে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথ পড়ান। আওয়ামী লীগের দুই জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। আর জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক ও সালমা ইসলাম প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির সভাপতি-মণ্ডলীর সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদকে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা করা হয়েছে।
অবশ্য আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ প্রথমে নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দিতে সম্মত ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত দলের নীতিনির্ধারকদের অনুরোধে তিনি মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করেন।
বিশিষ্ট আইনজীবী রফিক-উল হক প্রথম আলোকে বলেছেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের স্ত্রীসহ সাতজনকে মন্ত্রিত্ব দিয়ে সরকারে আনা হলো। অথচ এক দিন আগেও এরশাদ বলেছিলেন, বিএনপি ছাড়া তিনি সর্বদলীয় সরকারে যাবেন না। মাত্র এক দিনের মধ্যে তিনি বদলে গেলেন।
মন্ত্রিসভার
কোনো সদস্য বাদ পড়বেন কি না বা নতুন আরও কেউ যুক্ত হবেন কি না, গতকাল রাত
পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে তা স্পষ্ট করা হয়নি। সব মন্ত্রী একযোগে
পদত্যাগ করলেও তাঁদের পদত্যাগপত্রগুলো কোথায়, কার কাছে, কী অবস্থায় আছে,
তা-ও জানা যায়নি।
১১ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী একযোগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। একাধিক প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করেন।
সংবিধানের ৫৮(১) ধারা অনুসারে, পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরও তাঁরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এই সরকারের সবচেয়ে বড় অংশীদার জাতীয় পার্টি। জাতীয় সংসদে ৩০ জন সাংসদ নিয়ে জাতীয় পার্টি চারজন মন্ত্রী, মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন একজন উপদেষ্টা ও দুজন প্রতিমন্ত্রী পেয়েছে। এরশাদের শাসনামলে রওশন এরশাদ ‘ফার্স্ব লেডি’ হিসেবে সরকারি সুবিধা নিয়ে সমালোচিত হন। এবার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে পাঁচ বছরে এক দিনের জন্যও তিনি এলাকায় যাননি।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও জিয়াউদ্দিন আহমেদ জাতীয় পার্টির সময়ে মন্ত্রী ছিলেন। মুজিবুল হক উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সালমা ইসলাম দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক এবং যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের স্ত্রী।
সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, পদত্যাগী মন্ত্রীদের মধ্যে কারা থাকছেন আর কারা থাকছেন না, তা গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আজ দপ্তর বণ্টন করা হবে।
এদিকে দায়িত্বশীল সূত্রমতে, নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা ৩০-এর অধিক হবে না বলা হলেও সব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী দায়িত্বে থাকতে চান। বাদ পড়তে চান না প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারাও। উপরন্তু নির্বাচনকালীন সরকারে আরও নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নেওয়া হতে পারে। ছোট ছোট বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ হচ্ছে। এমনকি ১৮-দলীয় জোটের কোনো শরিককেও নির্বাচনকালীন সরকারে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে।
জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মহা-উৎসাহে অন্তর্বর্তী সরকারে যোগ দিয়েছে। ৩০ জন সাংসদ নিয়ে জাপা মহাজোট সরকারে যোগ দিয়ে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিল একটি। এখন তা বেড়ে হলো সাত।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গতকাল বিকেলে বঙ্গভবনে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথ পড়ান। আওয়ামী লীগের দুই জ্যেষ্ঠ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। আর জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক ও সালমা ইসলাম প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। জাতীয় পার্টির সভাপতি-মণ্ডলীর সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদকে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা করা হয়েছে।
অবশ্য আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ প্রথমে নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দিতে সম্মত ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত দলের নীতিনির্ধারকদের অনুরোধে তিনি মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করেন।
বিশিষ্ট আইনজীবী রফিক-উল হক প্রথম আলোকে বলেছেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের স্ত্রীসহ সাতজনকে মন্ত্রিত্ব দিয়ে সরকারে আনা হলো। অথচ এক দিন আগেও এরশাদ বলেছিলেন, বিএনপি ছাড়া তিনি সর্বদলীয় সরকারে যাবেন না। মাত্র এক দিনের মধ্যে তিনি বদলে গেলেন।
১১ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী একযোগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। একাধিক প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করেন।
সংবিধানের ৫৮(১) ধারা অনুসারে, পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরও তাঁরা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
এই সরকারের সবচেয়ে বড় অংশীদার জাতীয় পার্টি। জাতীয় সংসদে ৩০ জন সাংসদ নিয়ে জাতীয় পার্টি চারজন মন্ত্রী, মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন একজন উপদেষ্টা ও দুজন প্রতিমন্ত্রী পেয়েছে। এরশাদের শাসনামলে রওশন এরশাদ ‘ফার্স্ব লেডি’ হিসেবে সরকারি সুবিধা নিয়ে সমালোচিত হন। এবার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে পাঁচ বছরে এক দিনের জন্যও তিনি এলাকায় যাননি।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও জিয়াউদ্দিন আহমেদ জাতীয় পার্টির সময়ে মন্ত্রী ছিলেন। মুজিবুল হক উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সালমা ইসলাম দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক এবং যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের স্ত্রী।
সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, পদত্যাগী মন্ত্রীদের মধ্যে কারা থাকছেন আর কারা থাকছেন না, তা গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। এ ছাড়া নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের আজ দপ্তর বণ্টন করা হবে।
এদিকে দায়িত্বশীল সূত্রমতে, নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা ৩০-এর অধিক হবে না বলা হলেও সব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী দায়িত্বে থাকতে চান। বাদ পড়তে চান না প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারাও। উপরন্তু নির্বাচনকালীন সরকারে আরও নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী নেওয়া হতে পারে। ছোট ছোট বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ হচ্ছে। এমনকি ১৮-দলীয় জোটের কোনো শরিককেও নির্বাচনকালীন সরকারে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে।
আবার প্রধানমন্ত্রীকে এটাও বোঝানো হচ্ছে যে, বর্তমান
মন্ত্রিসভার কাউকেই বাদ দেওয়া ঠিক হবে না। নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ মনে
করেন, মন্ত্রিসভা থেকে কোনো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে বাদ দেওয়া হলে
নির্বাচনের সময় তাঁদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
যোগাযোগ করা হলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে
বলেন, সর্বদলীয় সরকারের অর্থ হচ্ছে সব দলকে নিয়ে সরকার। যেখানে প্রধান
বিরোধী দল গত জাতীয় নির্বাচনে এক-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়েছে, পাঁচ সিটি
করপোরেশন নির্বাচনে ৫৭ ভাগ ভোট পেয়েছে, সেখানে তাদের বাদ দিয়ে সর্বদলীয়
সরকার হয় কি না, তাদের বাদ দিয়ে নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে কি না—এ
প্রশ্নগুলো মানুষের মধ্যে রয়েছে।
শপথ অনুষ্ঠান: বেলা তিনটা পাঁচ মিনিটে
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গভবনের দরবার হলে
এসে উপস্থিত হন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন
ভূইঞার পরিচালনায় মাত্র ১২ মিনিটের অনুষ্ঠানে প্রথমেই মন্ত্রীরা শপথ নেন।
এরপর দুই প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা শপথ বইয়ে স্বাক্ষর
করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আসেন এবং কুশল বিনিময় করেন। দুই প্রতিমন্ত্রী
মুজিবুল হক ও সালমা ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এইচ এম এরশাদের পা
ছুঁয়ে সালাম করেন।
শপথ অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আলাদা কক্ষে
আলোচনা করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার সময় ফটকের সামনে
নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী সালমা ইসলামকে দেখে কাছে ডেকে হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস
করেন, ‘এবার খুশি...’।
শপথের পর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন,
‘আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। বিএনপিকে বলব, তারাও যেন
দাবি-দাওয়া নিয়ে আসে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।’ বিরোধী দলের নেতা
হওয়ার জন্য নির্বাচন করছেন কি না, জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, ‘সরকার গঠনের
জন্য নির্বাচন করছি। প্রধান বিরোধী দল হওয়ার জন্য নয়। আমরা চাই সব দল
নির্বাচনে অংশ নিক।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘এ
দায়িত্ব পালন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের দায়িত্ব অবাধ ও নিরপেক্ষ
নির্বাচন নিশ্চিত করা।’
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন