সাবেক উপদেষ্টাদের দিয়ে সরকার গঠনের প্রস্তাব খালেদা জিয়ার


সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া
বাংলাদেশে বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়া সাবেক দুটো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ জন উপদেষ্টার মধ্য থেকে ১০ জনকে বেছে নিয়ে এই সরকার গঠনের প্রস্তাব করেছেন।বিরোধী নেত্রীর প্রস্তাব অনুসারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি পাঁচজন করে উপদেষ্টার নাম প্রস্তাব করবে।তারাই আসন্ন নির্বাচনকালীন সরকারের উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করবেন।প্রস্তাবিত এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হবেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এক ব্যক্তি, যাকে তিনি একজন 'সম্মানিত নাগরিক' বলে অভিহিত করেছেন।"১৯৯৬ ও ২০০১ -এই দুটো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণভিত্তিক দুটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। উপদেষ্টারা তাদের নিরপেক্ষতার জন্যে সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছিলেন"খালেদা জিয়া বলেন, তাকে নির্বাচন করতে হবে দুটো দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে।খালেদা জিয়া বলেছেন, "এই দুটো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণভিত্তিক দুটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। উপদেষ্টারা তাদের নিরপেক্ষতার জন্যে সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছিলেন।"ওই দুটো নির্বাচনে একবার আওয়ামী লীগ ও একবার বিএনপি বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে।তার প্রস্তাবিত নির্বাচনকালীন এই সরকার গঠনের জন্যে প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনেরও প্রস্তাব দিয়েছেন খালেদা জিয়া।তিনি বলেন, বর্তমান সংসদ ভেঙে যাওয়ার আগে প্রয়োজনে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচন করা যেতে পারে। সংসদ যেভাবে রাষ্ট্রপতি, স্পিকার ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যদের নির্বাচন করে থাকে।
এর আগে গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবের তিনদিনের মাথায় বিএনপি নেত্রী পাল্টা প্রস্তাব দিলেন
খালেদা জিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ জাতিকে হতাশ করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।তবে বিরোধী নেত্রীর বক্তব্যের প্রায় পুরোটা জুড়েই ছিলো সমকালীন নানা ইস্যুতে তার দলের অবস্থানের ব্যাখ্যা।বক্তব্যের একেবারে শেষের দিকে তিনি নির্বাচনকালীন সরকারের ব্যাপারে বিরোধী জোটের প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।এই প্রস্তাব সরকার মেনে না নিলে বিরোধী দলের পরবর্তী কর্মসূচি কি হতে পারে সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কিছু বলেন নি খালেদা জিয়া।বাংলাদেশে জ্ঙ্গী তৎপরতা মোকাবেলায় বিএনপি সরকারের ভূমিকা তুলে ধরেছেন খালেদা জিয়া, এবং এখনও তার দল এ বিষয়ে সোচ্চার বলে তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন বলে মনে হয়েছে।যারা আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অন্যায় অবিচার করেছেন, আমি তাদের প্রতি ক্ষমা ঘোষণা করছি। সরকারে গেলেও আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধ নেবো না খালেদা জিয়া  আর বললেনভারতের নাম উল্লেখ না করে প্রতিবেশি দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রতিক কিছু হামলার কথা তুলে ধরে তিনি তাদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়েও আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন।এছাড়াও খালেদা জিয়া বলেছেন যে, তার সন্তানের সাথে যারা অন্যায় অবিচার করেছেন তাদেরকে তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন।আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তার কোনো প্রতিশোধ নেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।সংবাদদাতা বলছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কিভাবে সরকার পরিচালনা করবে তার মূলত একটি রুপরেখা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে আজকের সংবাদ সম্মেলনে।
Share on Google Plus

About juwel ishlam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment