বিএনপি কার্যালয়ে মীর্জা ফখরুল ও রুহুল কবির রিজভী
বাংলাদেশে পুলিশের ঘিরে রাখা
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকেছেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর এবং যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জাতির
উদ্দেশে বেতার ও টিভিতে এক ভাষণ দিতে যাচ্ছেন। তার কয়েক ঘন্টা আগে অবরুদ্ধ
কার্যালয়ে ঢোকার পর সাংবাদিকদের মি. আলমগীর বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট
নিরসনে জন্য প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা নেই।
আগামি ২৫ অক্টোবর থেকে এই সরকারের
মেয়াদের শেষ ৯০ দিন শুরু হচ্ছে – যার মধ্যেই সংবিধান অনুযায়ী পরবর্তী
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। ২৫ অক্টোবর ঢাকায় প্রধান বিরোধীদল বিএনপি এবং
সরকারী দল আওয়ামি লিগ যে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোসণা করেছে, তাকে ঘিরে
সহিংসতার আশংকা করছেন অনেকেই।বিএনপি অফিসের বাইরে পুলিশমি. আলমগীর অভিযোগ করেন, সরকার ২৫শে অক্টোবর বিএনপির ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশে সংঘাত সৃষ্টি করতে চাইছে।আগামি নির্বাচন কি ধরণের সরকারের অধীনে হবে তা
নিয়ে সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। একে কেন্দ্র
করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যায় তা নিয়ে একটা উদ্বেগও তৈরি হয়েছে।
সরকারী দল চাইছে সংবিধানের সবশেষ পরিবর্তন অ
অনুযায়ী বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থাতেই নির্বাচন করতে, আর
বিরোধীদল চাইছে, একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ অন্তর্বতী সরকারের অধীনে নির্বাচন
হোক। ফলে আগামি নির্বা্চন কিভাবে হবে, তাতে সব দল যোগ দেবে কিনা, না দিলে
কি হবে - তা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মনে একটা উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।বিএনপি কার্যালয়ে তালাএ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ভাষণে কি বলেন - তা নিয়ে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।মীর্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনে তার দল প্রতিক্রিয়া জানাবে।২৫শে অক্টোবর নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পুলিশ
বৃহস্পতিবার থেকে বিএনপি অফিসের চারপাশে কড়া পাহারা বসায়। দলটির একজন নেতা
রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, তাদের কোনো নেতাকর্মীকে অফিসের ভেতরে ঢুকতে বা
বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
পুলিশ বলছে, দলের একজন নেতা সাদেক হোসেন খোকা
দা-কুড়াল নিয়ে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়ার পর তারা আশঙ্কা
করছেন, অফিসের ভেতরে এ ধরনের অস্ত্র জড়ো করা হতে পারে।পুলিশ বলছে, মানুষের মনে যাতে আতঙ্কের সৃষ্টি না হয় সেজন্যেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।অফিসের আশেপাশে ফুটপাত থেকে ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট উঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। অফিসের সামনে রাস্তায় একটি প্রিজন ভ্যানও রাখা হয়।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান বিবিসিকে বলেছেন, সন্দেহজনক কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেখলে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ রয়েছে।
সামনের রাস্তায় চেকপোস্টও বসানো হয়েছে।২৫শে অক্টোবর ঢাকায় সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের সরকারি অনুমতি এখনো দেয়া হয়নি।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন