
সরেজমিন দেখা যায়, দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন ডিএনডি এলাকার বাসিন্দারা। কিছু কিছু এলাকার বেশিরভাগ সড়ক পানিতে তলান। কিছু কিছু বাসিন্দারা তাদের বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছে অন্যত্র, উঁচু বাড়িতে। সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কোমর সমান পানি মাড়িয়ে এক গৃহিণী তার বাসায় যাচ্ছেন। আবার অনেক ছাত্রছাত্রী হাঁটু সমান পানি মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে। উত্তর জালকুড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় স্কুল বন্ধ রয়েছে। এদিকে জালকুড়ি উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষে হাঁটু পানি। পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে ঠিকমতো ক্লাস করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। অনেকে বিকল্প হিসেবে পাশের বাড়িতে গিয়ে ক্লাস করছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা নীলা জানান, শ্রেণীকক্ষ ও লাইব্রেরিতে পানি ওঠার করাণে বালুর বস্তা দিয়ে কিছুটা উঁচু করা হয়েছে। বর্তমানে শ্রেণীকক্ষে প্রায় ৩ ফুট পানি রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে দিন দিন পানি বেড়েই চলেছে। ডিএনডির অভ্যন্তরে ডাইং কারখানার এসিডযুক্ত ময়লা পানির কারণে দুর্গন্ধের পাশাপাশি এলাকাবাসী নানা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। মিজমিজি পূর্বপাড়া মুজিববাগ এলাকার শাহজাহান জানান, বৃষ্টির পানিতে মৎস্য চাষ করায় এ এলাকাসহ কদমতলী ও মিজমিজিসহ অনেক এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ওই মৎস্য চাষীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছে না। এর কারণে অনেক রাস্তাও ডুবে গেছে।ডিএনডি পাম্প হাউস নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার জানান, অতিমাত্রায় আর বৃষ্টি না হলে কয়েক দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে ডিএনডি এলাকা। ডিএনডি বাঁধ এলাকায়পানিনিষ্কাশনের জন্য ১২৮ কিউসেক চারটি পাম্প রয়েছে কিন্তু একসঙ্গে ৪টি পাম্পচালাতে না পারায় ৩টি দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং ও যান্ত্রিক ত্র“টির কারণে কখনও কখনও ২টি পাম্প চালান হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন