মরণ কামড় দিবে বলে যানিয়েছে জামায়াত ইসলাম
-
অস্তিত্বটিকিয়ে রাখতে ২৫ অক্টোবরের পর মরণ কামড় দেবে জামায়াতে ইসলামী। সে
প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। জামায়াতের মতে, ২৪ অক্টোবর বর্তমান সরকারের মেয়াদ
শেষ। আর ২৫ অক্টোবর সমাবেশের মধ্য দিয়ে তাদের এ যাত্রা শুরু হবে। সর্বশক্তি
নিয়ে এ সমাবেশে মাঠে নামতে চায় জামায়াত-শিবির। সমাবেশে বাধা দেওয়া হলে
পাল্টা আঘাতের মাধ্যমে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা কর্মসূচিতে নিহত
জামায়াত-শিবির কর্মীদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধটাও নিতে চায় জামায়াত।
সেভাবেই চলছে প্রস্তুতি জানা যায় জামায়াতের প্রধান টার্গেট
যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকিয়ে ফাঁসির কনডেম সেল থেকে শীর্ষ নেতাদের মুক্ত করা।
এ জন্য বর্তমান সরকারকে হটিয়ে যে কোনো মূল্যে নিজেদের মন মতো সরকার
প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন,
এতদিন আমরা মার খেয়েছি, গুলিবিদ্ধ হয়েছি, নেতা-কর্মীরা প্রাণ দিয়েছেন, সব
পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করেছি। ২৫ অক্টোবরের পর শুরু হবে আমাদের অস্তিত্ব
রক্ষার আন্দোলন। তিনি বলেন, সরকার জোর করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করার
চেষ্টা করছে। এ নির্বাচন প্রতিহত করতে না পারলে ট্রাইব্যুনালে আটক নেতাসহ
দলের অস্তিত্ব রক্ষা করা যাবে না। জীবন দিয়ে হলেও এ নির্বাচন প্রক্রিয়া
প্রতিহত করা হবে। আর ২৫ অক্টোবর থেকেই শুরু হবে আমাদের মরণ কামড়।
জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ঈদে রাজধানী
ছাড়েনি তাদের কর্মীরা। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, থানা-ইউনিটে, গোপনে সংগঠিত হচ্ছে।
আন্দোলনের উপযোগী করতে গোপনে নিজেদের প্রস্তুত করছে। সরকারের বিরুদ্ধে
দেশের ছাত্র, যুবক, আলেম-ওলামাসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের আন্দোলনে সম্পৃক্ত
করার চেষ্টা করছে। এ জন্য বিপুল সংখ্যক বইপুস্তক, লিফলেট, বুলেটিন ছাপিয়ে
সারা দেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি ফেসবুক, টুইটার, ব্লগসহ নানা মাধ্যমকে
ব্যবহার করছে তারা। ভাঙচুর-নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকারকে ভয়ভীতি লাগিয়ে
নেতাদের মুক্ত করার চেষ্টা করবে। যে কোনো সময় একাত্তরের মানবতাবিরোধী
অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার
ফাঁসির রায় কার্যকর করা হতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখেই ২৫ অক্টোবরকে ঘিরে
আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। পর্যায়ক্রমে নানা কৌশলে রাজধানীসহ দেশের
গুরুত্বপূর্ণ শহর বিচ্ছিন্ন করে রাজপথ দখলে নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে
তাদের। এ সময় সচিবালয়, ট্রাইব্যুনালসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা,
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সরকারের মন্ত্রী-এমপি, সরকারি দলের নেতা ও সুশীল
সমাজের লোকজন তাদের হামলার টার্গেট হতে পারে। আন্দোলনের খরচ জোগাতে
দেশ-বিদেশ থেকে বড় অঙ্কের তহবিলও সংগ্রহ করা হয়েছে। তাছাড়া সারা দেশে
গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মী ও ক্যাডারদের একটি বড় অংশও জামিনে মুক্ত করা হয়েছে
প্রসঙ্গে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম
খান বলেন, সরকার একদলীয় প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের নাটক করে অবৈধভাবে
ক্ষমতায় অাঁকড়ে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। জনগণ সরকারের একতরফা
নির্বাচনের প্রহসনের নাটক কিছুতেই মঞ্চস্থ হতে দেবে না।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন