শিবির সন্দেহে ৭ জনকে গ্রেফতার

ঈদের ঠিক আগমুহূর্তে বগুড়া শহরে শিবির অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায় দফায় দফায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় শিবির সন্দেহে ৭ জনকে গ্রেফতার এবং বেশ কয়েকটি ককটেল উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ। তবে শিবির জানিয়েছে, পুলিশ নিজেরাই ককটেল নিয়ে এসে নাটক সাজিয়েছে। ঈদের একদিন আগে পুলিশের এমন আচরণে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সোমবার বেলা সোয়া ১টায় সবাই যখন জোহর নামাজ আদায় করছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে বিপুলসংখ্যক পুলিশ শহরের জামিলনগরে অভিযান চালায়। এ সময় একটি ছাত্রাবাস থেকে রবিউল ও এরশাদ নামের দুই শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেখান থেকে একটি ধারালো তরবারি উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ দাবি করেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জামিলনগরে পুলিশের অভিযান চলাকালে বেলা দেড়টার দিকে সদর থানা লক্ষ্য করে পর পর দুটি শক্তিশালী ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। কে বা কারা ককটেল দুটি থানার ছাদের ওপর ছুড়ে মারলে সেগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। পুলিশের দাবি, শিবির কর্মীরাই থানায় ককটেল নিক্ষেপ করেছে। তবে শিবির এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনার
কিছুক্ষণ পর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে শহরের মালগ্রামে অভিযান চালিয়ে শিবির কর্মী সন্দেহে আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ারা হলো আবু রায়হান, এনামুল হক, তরিকুল ইসলাম, এনামুল হক সরকার ও মাহবুবর রহমান।
অভিযানকালে পুলিশ একটি ছাত্রাবাস থেকে ৪৫টি ককটেল, ককটেল তৈরির সরঞ্জাম, গান পাউডার উদ্ধারের দাবি করেছে। তবে শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ অভিযান চালানোর সময় আগে থেকেই হাতে করে তরবারি ও বিস্ফোরক নিয়ে গেছে।
এদিকে এক বিবৃতিতে ইসলামী ছাত্রশিবির বগুড়া শহর শাখার সভাপতি আলাউদ্দিন সোহেল ও সেক্রেটারি রেজাউল করিম বলেন, ‘সবাই যখন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে বিনা উসকানিতে পুলিশ শহরের জামিলনগর, মালগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সাধারণ ছাত্রদের শিবির বানিয়ে গ্রেফতার করে হয়রানি করছে। এমনকি নিজেরা ককটেল তৈরির সরঞ্জাম সঙ্গে করে নিয়ে এসে শিবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। সেই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই, ইসলামী ছাত্রশিবির কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। স্বাধীনভাবে ছাত্র রাজনীতি করার অধিকার আমাদের আছে। অকারণে কেউ আমাদের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি এবং অহেতুক হয়রানি করলে তার সমুচিত জবাব দেয়ার অধিকার শিবিরের আছে। অবিলম্বে গ্রেফতার হওয়াদের মুক্তি দিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের সুযোগ দিন, হয়রানি বন্ধ করুন। সেই সঙ্গে আমরা ‘অতিউত্সাহী’ পুলিশ কর্মকর্তাদের সংযত আচরণ প্রত্যাশা করছি। অন্যথায় শিবির কর্মীরা পুলিশের উসকানিমূলক আচরণের উপযুক্ত জবাব দিতে বাধ্য হবে।’
Share on Google Plus

About juwel ishlam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment