জাওয়াহিরির কথিত সেই বার্তাটি প্রথম প্রকাশ করে পাকিস্তানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বালাকোড মিডিয়া। এরপর তা পাঠানো হয় মঙ্গলবার টাঙ্গাইলে আটক যুবক রাসেল বিন সাত্তারের ই-মেইলে। এরপর তিনি আরো বিভিন্ন সাইটে প্রচার করেন।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে র্যাব সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান। তিনি প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বলেনবালাকোড মিডিয়া একটি পাকিস্তানভিত্তিক সংস্থা। এটি মূলত আল কায়েদার বিভিন্ন বার্তা অডিও-ভিডিও এবং বিভিন্ন চিন্তাবিদদের বক্তব্য প্রচার করে থাকে।
জিয়াউল আহসান জানান, বালাকোড মিডিয়ায় প্রচারিত এবং প্রকাশিত জাওয়াহিরির অডিওবার্তাটি ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর প্রকাশ হয়। এর পরপরই আটককৃত রাসেল বিন সাত্তারের ই-মেইল আইডিতে চলে আসে। পরবর্তীতে জিহাদোলজি নামের আরেকটি ওয়েবসাইটে এ বছর ১৪ জানুয়ারি বার্তাটি আপলোড করা হয়।
তিনি বলেন, “প্রথম আপলোডের সময় এটিতে সাবটাইটেল ছিল না। পরবর্তীতে আপলোডের সময় 'বাংলাদেশ ম্যাসাকার বিহাইন্ড এ ওয়াল অব সাইলেন্স শিরোনামে ইংরেজি সাবটাইটেলে দেয়া হয়। পরে এটি রাসেল বিন সাত্তারের দুটি ব্লগ আমার দেশ ভাবনা’ ও ‘ইসলামের আলো’তে ৮ ফেব্রুয়ারি পোস্ট করা হয়।
তিনি আরো জানান১৫ ফেব্রুয়ারি অডিওটি ইউটিউবসহ অন্যান্য অনেক ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। এভাবেই এটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। এই প্রচারের সাথে রাসেল বিন সাত্তার সক্রিয়ভাবে জড়িত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাসেল সম্পর্কে জিয়াউল হাসান বলেনরাসেল একাধিক পেজের এ্যাডমিন ও একাধিক ব্লগ পরিচালনা করে। তাই সে এগুলোতে লিংক দেয়। তদন্ত করে দেখা হবে সে আর কোন কোন বিষয়ের সাথে জড়িত রয়েছে।
আটক রাসেল সাংবাদিকদের বলেনআমি স্বীকার করছিজাওয়াহিরির অডিওবার্তা ইন্টারনেটে প্রকাশের পর তার লিংক আমার ব্লগে ও ফেসবুকে শেয়ার করেছি। তবে আমি এই অডিওবার্তা ইউটিউবে শেয়ার করিনি।
তিনি আরো বলেনআমি ২০১০ সালে এসএসসি পাস করার পর ফেসবুক ব্যবহার করি। আমি সব সময় ইসলাম নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করি। তাই ইসলাম নিয়ে কোনো মতামত বা ব্ক্তব্য পেলে তা দেখি। ধর্ম নিয়েও আমি লেখালিখি করি। এছাড়া ধর্ম নিয়ে লেখালিখি করে এমন অনেক বন্ধু আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে আছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন