ঢাকায় নিযুক্ত ৩৪টি দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি'র সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার বিকাল ৪টায় রাজধানীর গুলশানে হোটেল হেরিটেজে বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় বিকাল ৫টায়। বৈঠকে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাদের কাছে তুলে ধরে বিএনপি। কূটনীতিকরা সংঘাত, সহিংসতা বন্ধ করে সংলাপে বসার জন্য সরকার ও বিরোধী দল উভয়কেই তাগিদ দেন। তারা বলেন, নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন হয়নি, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ খুঁজতে হবে।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা বলেন, গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র হতাশ। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ মতামত প্রকাশের সুযোগ পায়নি। যুক্তরাষ্ট্র এখনো আশা করে, রাজনৈতিক দলগুলো শিগগিরই একটি সমঝোতায় আসতে পারবে। তিনি বলেন, বিএনপি হরতাল ও অবরোধের মত সহিংস কর্মসূচি স্থগিত করেছে। এখন সরকারের উচিত হবে বিরোধী দলকে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া এবং নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে সংলাপের পরিবেশ তৈরি করা। সহায়ক পরিবেশ হচ্ছে-বিরোধী দলের কার্যালয় খুলে দেয়া, তাদের নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়া, তাদেরকে অবাধে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেয়াসহ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া। তবে বিএনপিকে সরকারের দেয়া এসব সুযোগেরও সদ্ব্যবহার করতে হবে।
এ সময় কানাডিয়ান হাইকমিশনার হিডার ক্রুডেন বলেন, হরতাল-অবরোধ স্থগিত করায় আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সহিংসতা বন্ধ করে সরকার এবং বিএনপি আলোচনায় বসতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যদি চায়, সব দলের অংশগ্রহণে আরেকটি নির্বাচন হতে পারে। জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি উইলিয়াম হানা বলেন, যেকোনো মূল্যে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। সংলাপ হচ্ছে সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা চায় বিএনপি। আলোচনার জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রদূতদের এখানে দাওয়াত দিয়েছি, এখানে সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে নির্বাচনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত-কূটনীতিকদের কাছে একটি প্রতিবেদন দেয়া হয়। ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিনসহ ওই সময়ে নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রের ভোটার অনুপস্থিতি, ভোট জালিয়াতি, ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ বিভিন্ন ভিডিও তথ্যচিত্র কূটনীতিকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের প্রতিবেদনটি সরবরাহও করা হয়। বিএনপির প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমদ।
বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবাসিক প্রতিনিধি উইলিয়াম হানা, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ওয়াঞ্জা ক্যাম্পস দা নব্রেগা, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এনেলি লিন্ডা কেনি, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. আলব্রেখট কনজের, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লী ইয়ান ইয়ং, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত গারবেন ডি জং, কানাডার রাষ্ট্রদূত হিডার ক্রুডেন, ইতালির রাষ্ট্রদূত জর্জিও গুগলিয়েলমিনো, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ইওয়ান উইরানাটা এমাজা, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত ডব্লি¬উ এ শরত্ কুমার ওরাজেদাসহ অন্তত ২৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও ভারত, পাকিস্তানসহ ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাংবাদিক শফিক রেহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বোরহান উদ্দিন খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা বলেন, গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র হতাশ। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ মতামত প্রকাশের সুযোগ পায়নি। যুক্তরাষ্ট্র এখনো আশা করে, রাজনৈতিক দলগুলো শিগগিরই একটি সমঝোতায় আসতে পারবে। তিনি বলেন, বিএনপি হরতাল ও অবরোধের মত সহিংস কর্মসূচি স্থগিত করেছে। এখন সরকারের উচিত হবে বিরোধী দলকে সভা-সমাবেশ করতে দেয়া এবং নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে সংলাপের পরিবেশ তৈরি করা। সহায়ক পরিবেশ হচ্ছে-বিরোধী দলের কার্যালয় খুলে দেয়া, তাদের নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দেয়া, তাদেরকে অবাধে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেয়াসহ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া। তবে বিএনপিকে সরকারের দেয়া এসব সুযোগেরও সদ্ব্যবহার করতে হবে।
এ সময় কানাডিয়ান হাইকমিশনার হিডার ক্রুডেন বলেন, হরতাল-অবরোধ স্থগিত করায় আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সহিংসতা বন্ধ করে সরকার এবং বিএনপি আলোচনায় বসতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যদি চায়, সব দলের অংশগ্রহণে আরেকটি নির্বাচন হতে পারে। জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি উইলিয়াম হানা বলেন, যেকোনো মূল্যে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। সংলাপ হচ্ছে সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা চায় বিএনপি। আলোচনার জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত। তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রদূতদের এখানে দাওয়াত দিয়েছি, এখানে সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে নির্বাচনের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত-কূটনীতিকদের কাছে একটি প্রতিবেদন দেয়া হয়। ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিনসহ ওই সময়ে নির্বাচনের ভোট কেন্দ্রের ভোটার অনুপস্থিতি, ভোট জালিয়াতি, ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ বিভিন্ন ভিডিও তথ্যচিত্র কূটনীতিকদের সামনে উপস্থাপন করা হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের প্রতিবেদনটি সরবরাহও করা হয়। বিএনপির প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমদ।
বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবাসিক প্রতিনিধি উইলিয়াম হানা, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত ওয়াঞ্জা ক্যাম্পস দা নব্রেগা, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এনেলি লিন্ডা কেনি, জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. আলব্রেখট কনজের, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লী ইয়ান ইয়ং, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত গারবেন ডি জং, কানাডার রাষ্ট্রদূত হিডার ক্রুডেন, ইতালির রাষ্ট্রদূত জর্জিও গুগলিয়েলমিনো, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ইওয়ান উইরানাটা এমাজা, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত ডব্লি¬উ এ শরত্ কুমার ওরাজেদাসহ অন্তত ২৪টি দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও ভারত, পাকিস্তানসহ ১০টি দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাংবাদিক শফিক রেহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বোরহান উদ্দিন খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন