আওয়ামী লীগ সরকার ‘ক্রমেই স্বৈরাচারী ও অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে বলে
মন্তব্য করেছে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা মানবাধিকার সংগঠন
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
২০১৩ সালকে বাংলাদেশের জন্য বিষাদময় বছর মন্তব্য করে সংস্থাটি বলছে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি পেছন দিকে মুখ থুবড়ে পড়েছে। সংস্থাটি বলছে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজবিরোধী রাজনৈতিক দল এবং গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর দমননীতির পথ নিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে আমার দেশ পত্রিকার খ্যাতনামা সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে। যে দেশে একজন সম্পাদকের সর্মান নিয়ে তানা হেচরা সে সরকারের বাপ মুতটী ভালো না হওয়ার ৯৯% সম্ভবনা ।গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সংস্থাটি যে বার্ষিক প্রতিবেদন (ওয়াল্ড রিপোর্ট ২০১৪) প্রকাশ করে, তাতে এভাবেই বাংলাদেশ সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।প্রতিবেদনে আর বলা হয় সরকার প্রায়ই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংস ও বেআইনি ভাবে শক্তিপ্রয়োগ করছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বেআইনি হত্যার বিশ্বাসযোগ্য কোনো তদন্ত শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া ডিরেক্টর ব্র্যাড অ্যাডামস আর বলেন এই বছরটি (২০১৩ সাল) ছিল বাংলাদেশের জন্য বিষাদময় (ট্র্যাজিক)। এ সময় রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা কর্মী এবং পথচারীদের অকারণ মৃত্যু ঘটেছে।
তিনি আর বলেন সরকার নিরাপত্তা বাহিনীর আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তদন্তের নির্দেশ এবং হিংসার চক্র ভেঙ্গে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং সরকার তার বিরোধীদের ওপর ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছে এবং বিরোধী দলের সমালোচনাকে দমন করার জন্য চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করার দিকে অগ্রসর হয়েছে।এটা বাংলাদেশ সরকারের মোটেও ঠিক হয় নী
২০১৩ সালকে বাংলাদেশের জন্য বিষাদময় বছর মন্তব্য করে সংস্থাটি বলছে দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি পেছন দিকে মুখ থুবড়ে পড়েছে। সংস্থাটি বলছে বাংলাদেশে নাগরিক সমাজবিরোধী রাজনৈতিক দল এবং গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর দমননীতির পথ নিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে আমার দেশ পত্রিকার খ্যাতনামা সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে। যে দেশে একজন সম্পাদকের সর্মান নিয়ে তানা হেচরা সে সরকারের বাপ মুতটী ভালো না হওয়ার ৯৯% সম্ভবনা ।গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে সংস্থাটি যে বার্ষিক প্রতিবেদন (ওয়াল্ড রিপোর্ট ২০১৪) প্রকাশ করে, তাতে এভাবেই বাংলাদেশ সরকারের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে।প্রতিবেদনে আর বলা হয় সরকার প্রায়ই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংস ও বেআইনি ভাবে শক্তিপ্রয়োগ করছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বেআইনি হত্যার বিশ্বাসযোগ্য কোনো তদন্ত শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া ডিরেক্টর ব্র্যাড অ্যাডামস আর বলেন এই বছরটি (২০১৩ সাল) ছিল বাংলাদেশের জন্য বিষাদময় (ট্র্যাজিক)। এ সময় রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা কর্মী এবং পথচারীদের অকারণ মৃত্যু ঘটেছে।
তিনি আর বলেন সরকার নিরাপত্তা বাহিনীর আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তদন্তের নির্দেশ এবং হিংসার চক্র ভেঙ্গে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং সরকার তার বিরোধীদের ওপর ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছে এবং বিরোধী দলের সমালোচনাকে দমন করার জন্য চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করার দিকে অগ্রসর হয়েছে।এটা বাংলাদেশ সরকারের মোটেও ঠিক হয় নী
প্রতিবেদনে আর বলা হয় শিল্প কারখানায় একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় শ্রমিকের
অধিকার রক্ষা করতে যে পদক্ষেপগুলো নেয়া হয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের
অনেক ঘাটতি রয়েছে। এটি হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়ার্ল্ড রিপোর্টের ২৪তম সংস্করণ। ৬৬৭ পৃষ্ঠায়
রিপোর্টটিতে ৯০টিরও বেশি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের রাস্তায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয় এবং সারা বছর তা চলতে থাকে। এতে প্রায় ২০০ জন মারা যায় এবং হাজারেরও বেশি লোক আহত হয়। আগের বিক্ষোভের সঙ্গেও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর যোগসূত্র ছিল।প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান বিরোধী জোট ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করার পর রাস্তায় হিংসার ঘটনা চলতেই থাকে। এক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলো তাদের সমর্থকদের হিংসাত্মক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার অজুহাতে কখনো কখনো চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।এবং তারা কখনো কখনো নিরহ ওনিরঅপরধী মানুষকে অযঠা সন্দেহমূলক
প্রতিবেদনে বলা হয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের রাস্তায় সহিংস বিক্ষোভ শুরু হয় এবং সারা বছর তা চলতে থাকে। এতে প্রায় ২০০ জন মারা যায় এবং হাজারেরও বেশি লোক আহত হয়। আগের বিক্ষোভের সঙ্গেও আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের নেয়া সিদ্ধান্তগুলোর যোগসূত্র ছিল।প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধান বিরোধী জোট ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কট করার পর রাস্তায় হিংসার ঘটনা চলতেই থাকে। এক্ষেত্রে বিরোধী দলগুলো তাদের সমর্থকদের হিংসাত্মক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলো আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার অজুহাতে কখনো কখনো চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।এবং তারা কখনো কখনো নিরহ ওনিরঅপরধী মানুষকে অযঠা সন্দেহমূলক
হয়রানীমূলক তল্লশি ও গ্রেফতার মূলক কর্ম কান্ড চালিয়েছেন ।প্রতিবেদনে আর বলা হয় ডিসেম্বর মাসে বিরোধী দল জামায়াতে ইসলামীর একজন
বর্ষীয়ান সদস্য আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর বছরের শেষ
দিকে এসে আরো বিক্ষোভ ও সহিংসার ঘটনা ঘটে।আন্তর্জাতিক আইনকে লঙ্ঘন করে আইসিটি আইনে সংশোধনী এনে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়।প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নির্বিচারে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সদস্যদের
গ্রেফতার করেছে। সংবাদপত্রের একজন খ্যাতনামা সম্পাদককেও গ্রেফতার করা হয়।
আগস্টে মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমান খান এবং নাসিরুদ্দিন ইলানকে গ্রেফতার
করা হয়।প্রতিবেদনে আর বলা হয় ২০১৩-এর এপ্রিলে রানা প্লাজা ভবন ভেঙে ১১শ’ জনেরও বেশি
শ্রমিকের মৃত্যুর পর প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও সরকার পোশাক ও অন্যান্য
শিল্পের কর্মীদের কর্মপরিবেশের উন্নতি করতে ব্যর্থ হয়েছে। দেশীয় ও
আন্তর্জাতিক চাপে সংসদে জুলাই মাসে লেবার অ্যাক্ট বা শ্রম আইনে সংশোধন আনা
হয়। সংশোধনীর দ্বারা ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশনে কিছু বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়।
কিন্তু এটি ইউনিয়ন করার অধিকার কার্যকরভাবে সুরক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে মাসে কারখানাগুলোর যে নিয়মিত পরিদর্শন শুরু হওয়ার কথা ছিল তা
প্রশাসনিক বিলম্বের জন্য স্থগিত রয়েছে।প্রতিবেদনে আর বলা হয় সরকার ঢাকার হাজারীবাগ এলাকার ট্যানারি শিল্পগুলোকে
সরিয়ে নেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা পূরণ হয়নি এবং সরকারি পরিদর্শকরা
এলাকার কারখানাগুলোতে পরিবেশ ও শ্রম আইন প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে।প্রতিবেদনে আর বলা হয় যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং বাংলাদেশ রাইফেলস (এখন যার নাম
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড) সদস্যদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের বিচারের বিষয়গুলোর
এখনও সমাধান হয়নি। গুরুতর পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও এই বিচারে অনেক অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে সমালোচনামূলক বিবৃতি
এবং রিপোর্ট করার জন্য হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং ইকোনমিস্টের সাংবাদিক এবং
টেলিভিশন শোর অতিথিদের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ তুলে কারণ দর্শানোর
নির্দেশ জারি করা হয়েছে।ব্রাড অ্যাডামস বলেন এই সরকার গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি এবং আইনের শাসন
ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল কিন্তু তার পরিবর্তে সরকার
ক্রমেই স্বৈরাচারী ও অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন যে কোনো ধরনের বিক্ষোভের ওপর গত বছর ধরে যে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে তা ছিল ভয়াবহ এবং দেশের মানবাধিকার রক্ষার সংকটকে তা আরো গভীরতর করেছে।
তিনি বলেন যে কোনো ধরনের বিক্ষোভের ওপর গত বছর ধরে যে দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে তা ছিল ভয়াবহ এবং দেশের মানবাধিকার রক্ষার সংকটকে তা আরো গভীরতর করেছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন