বিএনপির
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নয়, অস্ত্রের
জোরে ক্ষমতায় আছে। গত ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন জনগণ মানেনি বলে তিনি
মন্তব্য করেন।আজ সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।বক্তব্যের
শুরুতে খালেদা জিয়া ‘প্রহসনের নির্বাচনে’ অংশ না নেওয়ায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ
ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো গায়ের জোরে সব করা
যায় না।নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত
সংবাদ তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, এসবের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে এই সরকার
কলঙ্কিত সরকার। এই সরকার জনগণের সরকার হতে পারে না। তিনি অবিলম্বে নতুন
নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি আবারও আলোচনার মাধ্যমে নির্দলীয় ও
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।আজ বেলা সোয়া দুইটার দিকে সমাবেশটি শুরু হয়। আড়াইটা পর্যন্ত মঞ্চে ১৮
দলের অনেক নেতা উপস্থিত থাকলেও অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর কাউকে দেখা
যায়নি। আগের সমাবেশগুলোতে মঞ্চের সামনে ব্যানার-ফেস্টুন হাতে জামায়াতের
অনেক কর্মীকে দেখা গেলেও আজ তাঁদের উপস্থিতি নেই।১৫ জানুয়ারি বিএনপির
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৮ দলের পক্ষে এই সমাবেশের ঘোষণা দেন। গতকাল রোববার
বিএনপির আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান জানান, এটি বিএনপির
সমাবেশ, ১৮ দলের নয়।প্রসঙ্গত, জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার ব্যাপারে বিএনপির
প্রতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একধরনের চাপ আছে। তৃতীয় দফায় শেখ
হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর গণভবনে তিনি বিএনপির
প্রতি জামায়াতের সঙ্গ ছাড়ার আহ্বান জানান। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে
প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসকে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন,
‘জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির জোট কোনো স্থায়ী জোট নয়।’ পরে ইউরোপীয়
পার্লামেন্ট এক প্রস্তাবে জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে
সুস্পষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানায়।
This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন