মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে বলেন, ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে এসে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারেন সেই জন্য পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে। নির্বাচনে কারচুপির কোন সুযোগ নেই। ১৪৭টি আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে। এখনও সমঝোতার সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিকে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম ও জামায়াত ছেড়ে আসতে হবে। তাহলে সবসময়ই সমঝোতার দরজা খোলা আছে। তিনি বলেন, তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এটা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ইসি: এইচ টি ইমাম বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২রা জানুয়ারির পূর্বঘোষিত আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আমরা এ সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিলাম। সিইসি বলেছে- এখন এটা করা ঠিক হবে না। বিষয়টি দলকে জানিয়ে দেব।
জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন দলীয় প্রধানরা: দশম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের প্রধানরা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন বিটিভি তা সরাসরি সমপ্রচার করবে। তবে দলীয় প্রধান বা তার প্রতিনিধি কখন, কোন দল, কত সময় ধরে এ ভাষণ দেবেন তা চূড়ান্ত হয়নি। তবে তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিটিভি আজ-কালের মধ্যেই সময়সূচি ঠিক করবেন বলে ইসি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার বিকালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ম. হামিদ দশম সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধান/প্রতিনিধির ভাষণ সরাসরি সমপ্রচারের ‘গাইডলাইন’ চেয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ সাদিকের কাছে চিঠি দিয়েছেন। তা তথ্য মন্ত্রণালয়কেও অবহিত করা হয়। এতে বলা হয়, দলের প্রধান বা প্রতিনিধির ভাষণ বিটিভি থেকে সরাসরি সমপ্রচারে দল, দলীয় প্রতিনিধি মনোনয়ন, ভাষণের ব্যপ্তিকাল ও প্রচারের সময় নির্ধারণ, দলীয় পতাকা ও প্রতীক ব্যবহার, ভাষণের পাণ্ডুলিপি অনুমোদনে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তসহ গাইডলাইন প্রয়োজন। নবম সংসদ নির্বাচনসহ আগের নির্বাচনগুলোয় দলীয় প্রধানদের ভাষণ সমপ্রচার হয়েছে। ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে প্রচারণার শেষের দিন [২৭শে ডিসেম্বর রাত সাড়ে আটটায় শেখ হাসিনা ও সোয়া নয়টা খালেদা জিয়া] আধঘণ্টারও বেশি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধান দুই দলের নেতা। বর্তমানে যে ১২টি দল অংশ নিচ্ছে ইসি’র দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে ২৪৬ জন, জাতীয় পার্টির ৮৫, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাদস) ২৪, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২৮, গণতন্ত্রী পার্টি ১, গণফ্রন্ট ১, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ১, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৩, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ৬, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ২২, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ১৮ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ১০৩ জন। ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ১৫৩ আসনে একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ১৪৭ আসনে ব্যালটে ভোট হচ্ছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন