খালাস পেলেনবিএন পিসিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান

তারেক বেকসুর খালাসঅবৈধভাবে অর্থের লেনদেনের (মানি লন্ডারিং) অভিযোগে করা মামলায়  খালাস পেলেনরবিএন পিচেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ ছেলে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই মামলায় তাঁর বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক মো. মোতাহার হোসেন আজ রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই আদালত এলাকা ঘিরে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে বসানো হয়। সবাইকে তল্লাশি করে আদালতের ভেতরে ঢোকানো হয়।
সকাল ১০টার দিকে পুলিশ গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আদালতে হাজির করে। দুপুর ১২টার দিকে বিচারক রায় ঘোষণা করেন।
তারেক রহমান খালাস পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা আদালতকক্ষেই উল্লাস করতে থাকেন। এরপর তাঁরা আনন্দ মিছিল বের করেন। মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে তাঁরা দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ‘দালাল, দালাল’ বলে স্লোগান দেন।
বিএনপিপন্থী আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আদালত ন্যায়বিচার করেছেন। রাজনৈতিক উদ্দেশে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। আজ প্রমাণ হয়েছে, তিনি একটি পয়সাও কোথাও পাচার করেননি।
তারেকের আরেক আইনজীবী মাসুদ তালুকদার বলেন, পরাধীন বিচারব্যবস্থায় একজন বিচারক রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, তারেক রহমান নিরপরাধ। আজকের রায়ে প্রমাণিত হলো, খালেদা জিয়া নির্দোষ; তারেক রহমান নির্দোষ। মামুনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে তিনি জানান। তবে তিনি উল্লেখ করেন, যে সময় ধরে মামুন কারাগারে আছেন, সেটা সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে। সে বিবেচনায় অচিরেই মামুনের মুক্তি পাওয়ার কথা।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আনিসুল হক রায় মানলেও সন্তুষ্ট নন বলে জানান। পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর আপিলের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুদক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
প্রসঙ্গত, তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছেন। চিকিত্সার জন্য ২০০৮ সালে তিনি উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে ওই দেশে যান। পরে তাঁর জামিন বাতিল করে এই মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন দেওয়া হয়। তিনি না আসায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে পলাতক ঘোষিত হওয়ায় আইন অনুযায়ী তাঁর পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এর আগে মানি লন্ডারিংয়ের পৃথক মামলায় তারেকের ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর ছয় বছর সাজা হয়েছিল।
Share on Google Plus

About juwel ishlam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment