অভিযোগ নাকচ করে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত্ বড়ুয়া প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আবদুল হালিমের নেতৃত্বে কতিপয় যুবক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বানিয়ারছড়া এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকটি দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে আবদুল হালিম দৌড়ে পালানোর সময় পাহাড় থেকে খাদে পড়ে যান। এতে তাঁর ডান পা ভেঙে যায়। হালিমের গায়ে নির্যাতনের কোনো চিহ্ন নেই বলেও দাবি করেন ওসি।
চকরিয়া পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার বলেন, বিএনপিসহ ১৮-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন মঙ্গলবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার বানিয়ারছড়া এলাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ পিটুনি শুরু করে। এতে আবদুল হালিম গুরুতর আহত হন। এরপর পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল অসুস্থ অবস্থায় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।আবদুল হালিমের পরিবারের দাবি, পুলিশ থানায় নিয়ে আবদুল হালিমকে মারধর করে। এতে তাঁর ডান পা ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান তিনি। পরে তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রয়োজনীয় চিকিত্সার অভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন