ভারতের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য হিস্যাগুলো আদায়ে তড়িঘড়ি নেই। ছিটমহল বিনিময় হলো না, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হলো না, ফেলানী হত্যার বিচার পেলাম না, দুই দেশের বাণিজ্যিক ঘাটতির কোনো সুরাহা হলো না। সেখানে দেশের মানুষের প্রতিবাদের মুখে এত তড়িঘড়ি করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হলো কেন? এটা আমাদের স্বার্থে নয়। ভারতীয় পুঁজির স্বার্থে। গত শুক্রবার বাংলাভিশনের টকশো 'নিউজ অ্যান্ড ভিউজ'- এ বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান এ কথা বলেন। গোলাম মোর্তোজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে যেখানে বিদ্যুতের মূল্য পড়বে চার টাকার মতো। আর ভারতের এ বিদ্যুৎ আট টাকার ওপরে পড়বে। এখানে সুন্দরবন কিভাবে নষ্ট হবে, গাছপালা, মাছ, পশুপাখির ওপরে কী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। অনেক গবেষক তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। এরপরও সরকার যদি এ পদক্ষেপ নেয় সেটা জনস্বার্থে নয়। এখানে সরকার জনগণের দিকে তাকিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নাকি অন্য কারও বাণিজ্যিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কাজটি করছেন এ প্রশ্ন থেকেই যাবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাতিলের দাবিতে লংমার্চ করলাম। সারা দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়েছে। কেন্দ্রটি নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন মহল থেকে যে প্রশ্নগুলো এসেছে তার কোনো সন্তোষজনক জবাব সরকার থেকে আসেনি। তারা যেসব যুক্তি দেখিয়েছে তা ধোপে টেকেনি। পার্লামেন্টেও বিষয়টি তোলা হয়নি। সরকার যে কথাগুলো বলেছে তার পাল্টা যুক্তিগুলো নিয়ে একটি বিতর্কও হলো না। অথচ ২২ তারিখ উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়ে ৫ তারিখেই উদ্বোধন করার ব্যবস্থা হলো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসে আমাদের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে পারলেন না। আর এখানে একটি বাণিজ্যিক বিষয় যুক্ত। প্রকল্পটি উদ্বোধন এত জরুরি হয়ে গেল কেন? তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটি এবং দেশের মানুষের পক্ষ থেকে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁস প্রসঙ্গে বাসদ নেতা বলেন, আগে স্কাইপির ঘটনা ঘটল। সেটি সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিলে এ ঘটনা ঘটত না। এতে সরকার ও ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বহীনতা প্রমাণ হলো। যুদ্ধাপরাধ বিচার সবাই চায়। দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা যখন পূরণ হচ্ছে তখন সেটিকে বিতর্কিত করার কোনো যুক্তি ছিল না। খালেকুজ্জামান বলেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন আছে, বিতর্ক আছে তাই আরও সতর্ক থাকা দরকার ছিল। অতীতেও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে, কথায় ও কাজে সংশয় বেড়েছে। কিভাবে রায় ফাঁস হলো প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে তদন্ত করে স্পষ্ট করা দরকার। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করা ঠিক নয়।
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2013/10/06/20234#sthash.V3iUU7cb.dpufভারতের কাছ থেকে আমাদের ন্যায্য হিস্যাগুলো আদায়ে তড়িঘড়ি নেই। ছিটমহল বিনিময় হলো না, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হলো না, ফেলানী হত্যার বিচার পেলাম না, দুই দেশের বাণিজ্যিক ঘাটতির কোনো সুরাহা হলো না। সেখানে দেশের মানুষের প্রতিবাদের মুখে এত তড়িঘড়ি করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হলো কেন? এটা আমাদের স্বার্থে নয়। ভারতীয় পুঁজির স্বার্থে। গত শুক্রবার বাংলাভিশনের টকশো 'নিউজ অ্যান্ড ভিউজ'- এ বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান এ কথা বলেন। গোলাম মোর্তোজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিষ্ঠান কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করছে যেখানে বিদ্যুতের মূল্য পড়বে চার টাকার মতো। আর ভারতের এ বিদ্যুৎ আট টাকার ওপরে পড়বে। এখানে সুন্দরবন কিভাবে নষ্ট হবে, গাছপালা, মাছ, পশুপাখির ওপরে কী ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে বহু আলোচনা হয়েছে। অনেক গবেষক তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। এরপরও সরকার যদি এ পদক্ষেপ নেয় সেটা জনস্বার্থে নয়। এখানে সরকার জনগণের দিকে তাকিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন নাকি অন্য কারও বাণিজ্যিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কাজটি করছেন এ প্রশ্ন থেকেই যাবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাতিলের দাবিতে লংমার্চ করলাম। সারা দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়েছে। কেন্দ্রটি নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন মহল থেকে যে প্রশ্নগুলো এসেছে তার কোনো সন্তোষজনক জবাব সরকার থেকে আসেনি। তারা যেসব যুক্তি দেখিয়েছে তা ধোপে টেকেনি। পার্লামেন্টেও বিষয়টি তোলা হয়নি। সরকার যে কথাগুলো বলেছে তার পাল্টা যুক্তিগুলো নিয়ে একটি বিতর্কও হলো না। অথচ ২২ তারিখ উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়ে ৫ তারিখেই উদ্বোধন করার ব্যবস্থা হলো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসে আমাদের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে পারলেন না। আর এখানে একটি বাণিজ্যিক বিষয় যুক্ত। প্রকল্পটি উদ্বোধন এত জরুরি হয়ে গেল কেন? তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা কমিটি এবং দেশের মানুষের পক্ষ থেকে জাতীয় স্বার্থ বিরোধী এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁস প্রসঙ্গে বাসদ নেতা বলেন, আগে স্কাইপির ঘটনা ঘটল। সেটি সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিলে এ ঘটনা ঘটত না। এতে সরকার ও ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বহীনতা প্রমাণ হলো। যুদ্ধাপরাধ বিচার সবাই চায়। দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রত্যাশা যখন পূরণ হচ্ছে তখন সেটিকে বিতর্কিত করার কোনো যুক্তি ছিল না। খালেকুজ্জামান বলেন, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন আছে, বিতর্ক আছে তাই আরও সতর্ক থাকা দরকার ছিল। অতীতেও সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে, কথায় ও কাজে সংশয় বেড়েছে। কিভাবে রায় ফাঁস হলো প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে তদন্ত করে স্পষ্ট করা দরকার। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করা ঠিক নয়।
- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2013/10/06/20234#sthash.V3iUU7cb.dpuf
Share on Google Plus

About juwel ishlam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment