
সিলেটে বিরোধীদলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া জনসভায় সংগ্রাম কমিটি করে নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, যদি কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চান। সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু অন্যের অধিকারে কেউ যদি বাঁধা সৃষ্টি করেন, তা হবে সংবিধানের লঙ্ঘন এবং দেশের বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ।মন্ত্রী বিরোধীদলের নেতার উদ্দেশ্যে আরো বলেন, তাদের এই ধরণের কার্যকলাপ প্রতিহত করার জন্য সরকার সর্বাত্মক শক্তি নিয়োগ করবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচনকালীন সময়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা নাকচ করে দেন।আজ রবিবার দুপুরে চাঁদপুরের কচুয়া সরকারি স্কুল মিলনায়তনে বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন। বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মনত্মব্য প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি সুস্পষ্টভাবে বলেছি, যদি কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে চান, এটা তাঁর অধিকার, তিনি এটি না করতে পারেন। তবে নির্বাচনে অন্য কারো অংশগহণের ব্যাপারে কোনো বাধা সৃষ্টি করা হয়, এটি সংবিধান লংঘন। এটা দেশে যে বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা আছে, সেই আইন-শৃঙ্খলা বঙ্গের লংঘন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাহরণের লক্ষণ। এই ধরনের মনোবৃত্তির ভেতরে কার্যক্রম নির্বারণের জন্য নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য, দমন করার জন্য আমরা সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিবো। তবে এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো প্রয়োজন হবে না।এর আগে ইমামদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িকতার নামে মানুষে মানুষে অনৈক্য ও বিভেদ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। হিন্দু-বৌদ্ধদের উপর যারা নির্যাতন করে তারা ইনসানিয়াত হতে পারে না। ইসলামের নামে যারা ব্যবসা করে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. আমির জাফর, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আইউব আলী পাটোয়ারী, ভাইস চেয়াম্যান সোহরাব হোসেন সোহাগ, উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মোস্তফা আনোয়ার।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন