শতাব্দীর সবচেয়ে উজ্জ্বল ধূমকেতু আসছে

শতাব্দীর সবচেয়ে উজ্জ্বল ধূমকেতু আসছে
চাঁদের আলোর চেয়ে ১৫ গুণ উজ্জ্বল ধূমকেতুটি খালি চোখেই দেখা যাবে।আরেকটি ধূমকেতু জন্ম দিয়েছে ব্যাপক কৌতূহলের। চাঁদের আলোর চেয়ে ১৫ গুণ উজ্জ্বল ধূমকেতুটি খালি চোখেই দেখা যাবে। কোনো যন্ত্র ছাড়াই দেখা যাবে দিনের বেলায়ও। এর জন্য দীর্ঘ অপেক্ষায়ও থাকতে হবে না। সুযোগ আসছে আগামী মাসের মাঝামাঝিতেই। আইসন (আইএসওএন) নামের এই ধূমকেতু নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন জ্যোতির্বিদরা। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সূর্যের তাপে বরফ গলে ধূমকেতুটি সম্ভবত খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে পড়েছে। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার হাবল টেলিস্কোপের তোলা ছবি আশা জাগিয়েছে। হাবলের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অক্ষত আছে শতাব্দীর সবচেয়ে উজ্জ্বল ধূমকেতুটি।আগামী মাসের মাঝামাঝি থেকে মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত পৃথিবী থেকে দেখা যাবে ধূমকেতুটি। সবচেয়ে কাছে আসবে ২৬ ডিসেম্বর। পৃথিবী থেকে তখন এটি থাকবে ৩ কোটি ৯৯ লাখ মাইল দূরে। বেশি উজ্জ্বল দেখা যাবে উত্তর গোলার্ধ থেকে।
জ্যোতির্বিদদের গভীর মনোযোগ আকর্ষণ করা ধূমকেতুটির সন্ধান মেলে ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে। তখন এটি ছিল সূর্য থেকে ৫৮ কোটি ৪০ লাখ মাইল দূরে। কিছুদিন পর আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ধূমকেতুটিকে। জ্যোতির্বিদরা নতুন করে আশাবাদী হয়ে উঠলেও আশঙ্কার মেঘ কিন্তু কেটে যায়নি। অনেকের ধারণা, সূর্যের কাছাকাছি পেঁৗছার কারণে ৮ নভেম্বরের আগেই এর বরফ গলে যেতে পারে।এতে বিরল এক দৃশ্য উপভোগ থেকে বঞ্চিত হবে বিশ্ববাসী। সূর্য থেকে তখন এর দূরত্ব হবে ৭ লাখ ৩০ হাজার মাইল। তবে ধূমকেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও গবেষকরা জানতে পারবেন অনেক কিছু। মহাকাশ সম্পর্কে ধারণা হবে আরও উজ্জ্বল। তবে জ্যোতির্বিদদের কেউ কেউ বলছেন, ধূমকেতুটির কেন্দ্র (নিউক্লিয়াস) ১ দশমিক ২ মাইল বিস্তৃত হওয়ায় এটি ধ্বংস হবে না। টিকে গেলে পথপরিক্রমায় আবার 'কমেট অব দ্য সেঞ্চুরি' সৌরজগতের ভেতর আসবে হাজার হাজার বছর পর।বিজ্ঞানীদের ধারণা, ওরট ক্লাউড থেকে সৃষ্টি হয়েছে এই ধূমকেতু। বরফময় পাথরের ওরট ক্লাউড সূর্যের চারদিকে ঘুরছে। সূর্য থেকে এর দূরত্ব পৃথিবীর দূরত্বের তুলনায় ৫০ হাজার গুণ বেশি।
Share on Google Plus

About juwel ishlam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment