আগামীকাল ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল ঈদ-উল-আযহা পালিত হবে

শাহীন রহমান ॥ ত্যাগের মহিমায় অনুপম দৃষ্টান্ত নিয়ে মুসলমানদের দ্বারে আবার এসেছে ঈদ-উল-আযহা। আগামীকাল বুধবার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হবে ঈদ-উল-আযহা। মুসলমানদের অন্যতম প্রধান পবিত্র ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান এটি। ইতোমধ্যে ঈদ-উল-আযহাকে ঘিরে সারাদেশে শুরু হয়েছে আনন্দ ও উৎসবের বন্যা। পাশাপাশি এ ঈদে মুসলমানদের পবিত্র দায়িত্ব হলো আল্লাহর নামে পশু কোরবানি করা। আগামীকাল ঈদের নামাজ শেষেই সবাই মেতে উঠবে পশু কোরবানিতে। ইতোমধ্যে যে যার সাধ্যমতো কোরবানির প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ঈদে একসঙ্গে পশু কোরবানি করতে ও প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনান্দ ভাগাভাগী করে নিতে ইতোমধ্যে রাজধানী ছেড়েছে লাখ লাখ মানুষ। রাজধানীসহ সারাদেশে কোরবানি পশুর হাটগুলো এখন জমজমাট। ঢাকায় ঈদের দিন পর্যন্ত লাখ লাখ কোরবানি পশু কেনাবেচা হবে। পশু কোরবানি ছাড়াও ঈদের নামাজের যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দেশের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।ঈদ শব্দের অর্থ উৎসব। ঈদ-উল-আযহা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের একটি। বাংলাদেশে এই উৎসবটি কোরবানির ঈদ এবং বকরা ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদ-উল-আযহার অর্থ হলো ত্যাগের উৎসব। এটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ত্যাগ করা। এ দিনটিতে মুসলমানরা তাদের সাধ্যমতো ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী উট, গরু, দুম্বা কিংবা ছাগল কোরবানি বা জবাই করে থাকে। আল্লাহর আদেশে ইব্রাহিম (আ) আপন পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করার ঘটনাকে স্মরণ করে সারাবিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা এই দিবসটি পালন করে। হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসেবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত ৩ দিন ধরে ঈদ-উল-আযহা চলে। হিজরি চান্দ্র বছরের গণনা অনুযায়ী ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহার মাঝে ২ মাস ১০ দিন ব্যবধান থাকে। দিনের হিসেবে যা সর্বোচ্চ ৭০ দিন হতে পারে। এ হিসেবে ঈদ-উল-ফিতরের পর পরই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ঈদ-উল-আযহা।ইসলামী বিধান মতে যার ওপর যাকাত প্রদান করা ওয়াজিব, তাঁর ওপর ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে পশু কোরবানি করাও ওয়াজিব। ঈদ-উল-আযহায় বাংলাদেশের মুসলমানরা বেশিরভাগই সাধারণত গরু বা খাসি কোরবানি করে থাকেন। এক ব্যক্তি একটি গরু বা খাসি কোরবানি করতে পারেন। তবে গরুর ক্ষেত্রে ভাগে কোরবানি করা যায়। নিয়ম অনুযায়ী ৩, ৫ বা ৭ ব্যক্তি একটি গরু কোরবানিতে শরিক হতে পারেন। কোরবানির পর মাংস তিন ভাগে ভাগ করে ১ ভাগ গরিব-মিসকিনদের মধ্যে ও ১ ভাগ আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে এবং তৃতীয় ১ ভাগ নিজেদের খাওয়ার বিধান রয়েছে। কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির অর্থ সাদকা করে দিতে হয়।
ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনের সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া পূজার ছুটি যোগ করে এবার সরকারী ছুটি দাঁড়িয়েছে ৪ দিন। এ ছাড়া সরকারী ছুটির আগে পরে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগেভাগেই অনেকে রাজধানী ছেড়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ। সড়ক, নৌ, রেলপথগুলো এখন ঘরে ফেরা মানুষের পদচারণায় মুখরিত। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে এবারে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি খুব বেশি নেই। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগী করতে ঘরে ফেরার কষ্ট তাদের কাছে মøান হয়ে পড়েছে। সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দের মধ্য দিয়ে ঈদ উৎসব উদযাপনের জন্য সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সড়ক সজ্জিত করা, আলোকসজ্জার ব্যবস্থা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতাল, কারাগার, শিশুসনদ, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, সরকারী আশ্রম, সেফ হোম, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশ করা হবে। ঈদের দিন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকেটে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সকল শিশুপার্কে ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিনা টিকেটে ঢাকা যাদুঘরে প্রবেশ এবং প্রদর্শনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর বাণীপবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন।রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদ-উল-আযহা মহান আল্লাহর প্রতি অপরিসীম আনুগত্যের অনুপম নিদর্শন। মহান আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইব্রাহিম (আ) প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ) কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে আল্লাহর প্রতি যে আনুগত্য ও ভক্তি প্রদর্শন করেছেন তা অতুলনীয়। তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে এ ত্যাগ চির সমুজ্জ্বল ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। একটি শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল সমাজ বিনির্মাণে ধৈর্য ও সহনশীলতা অপরিহার্য। পবিত্র ঈদ-উল-আযহার মহান আদর্শ ও শিক্ষাকে আমাদের চিন্তা ও কর্মে প্রতিফলিত করতে হবে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা মুসলিম জাতির ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও সুসংহত করবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রিয়বস্তুকে মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের যে অনুপম দৃষ্টান্ত হযরত ইব্রাহিম (আ) স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর জন্য চিরকালই অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তিনি বলেন, এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানরা কোরবানিকৃত পশুর মাংস আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে প্রকারান্তরে সকলের মধ্যে সমতা প্রতিবিধান এবং সহমর্মিতা অনুশীলন করে থাকেন। তিনি পবিত্র ঈদ-উল-আযহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কর্মকা-ে অংশ নিয়ে বিভেদ-বৈষম্যহীন এক সুখী-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।পরধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর কর্মসূচীপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদ-উল-আযহার দিন দলের নেতাকর্মী, পেশাজীবী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, কূটনৈতিক, বিচারপতি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। সকাল ৯টায় গণভবনের লনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দলের নেতাকর্মী, পেশাজীবী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। পরে সকাল ১১টায় একই স্থানে তিনি কূটনৈতিক এবং সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে তার প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন।সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ১১টায় তিনি বিদেশী কূটনৈতিক, রাজনীতিবিদ, দলীয় নেতকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি
অন্যবারের ন্যায় দেশের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। দেশের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী জামায়াতের ইমামতি করবেন। ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বিগত বছরের ন্যায় এ বছরের পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের জন্য জাতীয় ঈদগাহের দক্ষিণ দিকে আলাদা প্রবেশপথসহ পৃথক জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বায়তুল মোকাররমে জাতীয় মসজিদে ঈদ জামাতের সময়সূচীঅন্যবারের ন্যায় এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ৫টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এখানে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিযানুর রহমান। এ ছাড়া বায়তুল মোকারমের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায়, পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১১টায়। ঈদের জামাতগুলোর ইমামতি করবেন পর্যায়ক্রমে হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক, দুর্বাটি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম আল মারূফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রব মিয়া বাগদাদী ও মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল হক।ঢাকার প্রধান প্রধান ঈদের জামাতসমূহ
সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা ॥ নয়াপল্টন জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, ব্রাদার্স ইউনিয়ন খেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায়, মোহাম্মদপুর জাতীয় মসজিদ কমপ্লেক্সে ৭.৪৫টায়, গে-ারিয়া ধূপখোলা ময়দানে সকাল ৭.৪৫টায়, খিলক্ষেত কুর্মিটোলা হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে প্রথম জামাত ৭.৩০টায়, কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেট মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায়, পরিবাগ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, পল্লীমা সংসদ ময়দানে সাড়ে ৭টায়, মিয়া সাহেব ময়দান খানকা শরীফ জামে মসজিদে সাড়ে ৭টায়, মোহাম্মপুর কৃষিবাজার তাহেরীয়া জামে মসজিদে সাড়ে ৭টায়, হাজারীবাগ পার্ক মাঠে প্রথম জামাত সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা ॥ নীলক্ষেত বাবুপুরা শাহ সাহেব বাড়ি মরিয়ম বিবি শাহী মসজিদে প্রথম জামাত সকাল ৮টায়, আবুজর গিফারি কলেজ মাঠে সকাল ৮টায় (মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে), খিলগাঁও সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সকাল ৮টায়, ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফরম সকাল ৮টায়, বাসাবো খেলার মাঠে সকাল ৮টায়, দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের বাবে রহমতের প্রথম জামাত সকাল ৮টায়, ধানম-ি ঈদগাহ জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, খিলক্ষেত কুর্মিটোলা হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জামাত ৮.১৫টায়, মিরপুর হারুন মোল্লা ঈদগাহ, পার্ক ও খেলার মাঠে সকাল ৮টায়, মগবাজার বিটিসিএল কলোনি জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুল জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, লক্ষ্মীবাজার নূরানী জামে মসজিদে ৮টায়, মতিঝিল মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটে ৮টায়, হাজারীবাগ পার্ক মাঠে দ্বিতীয় জামাত সাড়ে ৮.১৫টায় অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা ॥ নীলক্ষেত বাবুপুরা শাহ সাহেব বাড়ি মরিয়ম বিবি শাহী মসজিদে দ্বিতীয় জামাত সকাল ১০টায়, দেয়ানবাগ দরবার শরীফের বাবে রহমতের দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামাত সকাল ৯ ও ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।আহলে হাদিস
পুরান ঢাকাসহ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঈদ-উল-আযহার উপলক্ষে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে বংশাল বড় জামে মসজিদ কমিটির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে খুতবা প্রদান ও ইমামতি করবেন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদিসের সহসভাপতি, বংশাল বড় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জিল্লুল বাসেত। এই জামাতে রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩০ হাজার লোক সমাগম হবে বলে আহলে হাদিস ঈদ জামাত কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আওলাদ হোসেন জানান।
Share on Google Plus

About juwel ishlam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment