অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা
মামলায় গ্রেফতার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.
খন্দকার মোশাররফ হোসেনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা
হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদকের উপ-পরিচালক আহসান আলী আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিন রিমান্ড চান। তদন্ত কর্মকর্তার প্রার্থিত রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন শুনানি করেন দুদকের অতিরিক্ত পিপি মো. কবির হোসাইন। অন্যদিকে আসামির রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান তার আইনজীবী মো. মাসুদ আহমেদ তালুকদার। শুনানির এক পর্যায়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে আসামি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘এটা আমার কষ্টার্জিত অর্থ। আইন অনুযায়ী এ টাকার আয়করও পরিশোধ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিদেশে থাকাকালে আমি ও আমার স্ত্রী অনেক পরিশ্রম করে এ টাকা উপার্জন করেছি। লন্ডনে শেয়ারবাজারেও অর্থ লগ্নি করে ব্যবসা করেছি।’ মোশাররফ অভিযোগ করে আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা যথাযথ নিয়মে হয়নি। আইন অনুযায়ী মামলা দায়েরের আগে নোটিশ করার বিধান থাকলেও তা করা হয়নি। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আরেফিন শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে গুলশান থানায় নেয়া হয়। সেখান থেকে রাত ১২টা ২৩ মিনিটে রমনা থানায় আনা হয়। সকাল পৌনে দশটায় রমনা মডেল থানা থেকে তাকে সেগুনবাগিচা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। প্রায় সোয়া ৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যুক্তরাজ্যে মোট ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা অর্থপাচারের অভিযোগে মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘিত হওয়ায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০০২-এর ১৩ ধারা এবং ২০০৯ ও ২০১২ এর (৪) ধারায় দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদী হয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রচুর অর্থ-সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। মন্ত্রী থাকাকালীন ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ‘খষড়ুফং ঞঝই ঙভভংযড়ত্ব চত্রাধঃব ইধহশ’ ব্যাংকে তার নিজের ও স্ত্রী বিলকিস আক্তারের যৌথ নামে ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪২ ব্রিটিশ পাউন্ড পাচার করেন যা বাংলাদেশী টাকায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। এই টাকা তিনি বিভিন্ন সময় ১০৮৪৯২ নম্বর হিসাবে ‘ফিক্সড টার্ম ডিপোজিট’ জমা করেন। |
- Blogger Comment
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন