একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমদকে খুন করা হয় তারই গাড়ি চালক হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে। টাকার লোভেই এ কাজ করে হুমায়ুন কবীর। চিকিত্সার জন্য বিদেশ যেতে বাসায় বেশ কিছু টাকা এনে রাখেন আফতাব আহমদ। বিষয়টি জানত হুমায়ুন। অসুস্থ মনিবকে খুন করে এই টাকা মেরে দেয়ার পরিকল্পনা করে হুমায়ুন। পরিকল্পনা অনুসারে ২৪ ডিসেম্বর রাতে হুমায়ুনসহ ৫ জন শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দেশের স্বনামধন্য এই ফটো সাংবাদিককে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে চার খুনি। পলাতক অপর খুনিকে গ্রেফতারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এদিকে গতকাল রবিবার র্যাব এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মামলার তদন্ত ভার র্যাবের কাছে ন্যস্ত করা হয়।মতিঝিল জোনের উপপুলিশ কমিশনার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন হত্যাকাণ্ডের পর রহস্য উন্মোচনে র্যাব অনুসন্ধান কার্যক্রম চালায়। হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অনেক তথ্য র্যাবের কাছে রয়েছে। এ কারণে মামলা তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তরের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী গতকাল মন্ত্রণালয় থেকে র্যাবে তদন্ত ভার হস্তান্তরের আদেশ জারি হয়েছে বলে তিনি জানান।রামপুরা ওয়াপদা রোডে নিজ বাস ভবনের দোতলায় আফতাব আহমেদ খুন হন। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রতিদিনের মত সকালে কাজ করতে এসে গৃহকর্মী নাসিমা দেখে দোতলায় প্রবেশের গেট বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করে ভেতর থেকে কোন সাড়া না পেয়ে নাসিমা বিষয়টি জানায় আফতাব আহমদের একমাত্র মেয়ে বর্না ও তার স্বামীকে। বর্না পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ ও র্যাব তালা ভেঙ্গে ভিতরে গিয়ে বেড রুমে আফতাব আহমেদের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার হাত ও মুখমণ্ডল কাপড় দিয়ে বাধা ছিল। ময়না তদন্তের রিপোর্টে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়। গ্রেফতার হুমায়ুন কবীর, তার সহযোগী হাবিবউল্লাহ ও বেল্লালসহ চারজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের পর তারা আফতাব আহমদের কাছে থাকা লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যাওয়ার কথাও স্বীকার করেছে। জানা যায় গত পহেলা ডিসেম্বর হুমায়ুন কবীরকে চালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। মাসিক বেতন ধার্য করা হয় ৮ হাজার টাকা। সাংবাদিক আফতাব আহমদ হত্যাকাণ্ডে তার একমাত্র ছেলে মনওয়ার আহমেদ সাগর বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।উল্লেখ্য আফতাব আহমদ ১৯৪৯ সালে ইত্তেফাকে ফটোসাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে তিনি ইত্তেফাক থেকে অবসর নেন।
দেখুন একজ সাংবাদিক কি করুন ভাবে খুন হোলো কিছু টাকার জন্য
-একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটোসাংবাদিক আফতাব আহমদকে খুন করা হয় তারই গাড়ি চালক হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে। টাকার লোভেই এ কাজ করে হুমায়ুন কবীর। চিকিত্সার জন্য বিদেশ যেতে বাসায় বেশ কিছু টাকা এনে রাখেন আফতাব আহমদ। বিষয়টি জানত হুমায়ুন। অসুস্থ মনিবকে খুন করে এই টাকা মেরে দেয়ার পরিকল্পনা করে হুমায়ুন। পরিকল্পনা অনুসারে ২৪ ডিসেম্বর রাতে হুমায়ুনসহ ৫ জন শ্বাসরোধ করে হত্যা করে দেশের স্বনামধন্য এই ফটো সাংবাদিককে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার হাতে গ্রেফতারের পর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে চার খুনি। পলাতক অপর খুনিকে গ্রেফতারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এদিকে গতকাল রবিবার র্যাব এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মামলার তদন্ত ভার র্যাবের কাছে ন্যস্ত করা হয়।মতিঝিল জোনের উপপুলিশ কমিশনার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন হত্যাকাণ্ডের পর রহস্য উন্মোচনে র্যাব অনুসন্ধান কার্যক্রম চালায়। হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অনেক তথ্য র্যাবের কাছে রয়েছে। এ কারণে মামলা তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তরের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেয়া হয়। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী গতকাল মন্ত্রণালয় থেকে র্যাবে তদন্ত ভার হস্তান্তরের আদেশ জারি হয়েছে বলে তিনি জানান।রামপুরা ওয়াপদা রোডে নিজ বাস ভবনের দোতলায় আফতাব আহমেদ খুন হন। পরদিন ২৫ ডিসেম্বর সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রতিদিনের মত সকালে কাজ করতে এসে গৃহকর্মী নাসিমা দেখে দোতলায় প্রবেশের গেট বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করে ভেতর থেকে কোন সাড়া না পেয়ে নাসিমা বিষয়টি জানায় আফতাব আহমদের একমাত্র মেয়ে বর্না ও তার স্বামীকে। বর্না পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ ও র্যাব তালা ভেঙ্গে ভিতরে গিয়ে বেড রুমে আফতাব আহমেদের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার হাত ও মুখমণ্ডল কাপড় দিয়ে বাধা ছিল। ময়না তদন্তের রিপোর্টে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়। গ্রেফতার হুমায়ুন কবীর, তার সহযোগী হাবিবউল্লাহ ও বেল্লালসহ চারজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের পর তারা আফতাব আহমদের কাছে থাকা লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যাওয়ার কথাও স্বীকার করেছে। জানা যায় গত পহেলা ডিসেম্বর হুমায়ুন কবীরকে চালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। মাসিক বেতন ধার্য করা হয় ৮ হাজার টাকা। সাংবাদিক আফতাব আহমদ হত্যাকাণ্ডে তার একমাত্র ছেলে মনওয়ার আহমেদ সাগর বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।উল্লেখ্য আফতাব আহমদ ১৯৪৯ সালে ইত্তেফাকে ফটোসাংবাদিক হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৬ সালে তিনি ইত্তেফাক থেকে অবসর নেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন