প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী দল। তারা হরতালের নামে
চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষ খুন করে। মানুষ তাদের সমর্থন দেয় না। তারা
বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারে। এই কয়েক দিনে তারা অন্তত ৩০ জনকে হত্যা
করেছে।আজ বুধবার বিকেলে বাগেরহাট শহরের খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে
জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব
কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন তিনি পাঁচ শত জায়গায় বোমা ফাটিয়েছেন। আমাকে হত্যা করতে চেয়েছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তে তাঁর একজন কেবিনেট মন্ত্রী ও তাঁর বড় ছেলের নাম উঠে এসেছে। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ২২ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।’
বিএনপির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী, বিডিআর বিদ্রোহ মামলা, জেলহত্যা ও জাতির জনক হত্যা মামলার আসামিদের রক্ষা চেষ্টার অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে লাভ হবে না। আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর করেছি। অন্য সব মামলারও বিচার করব এবং আদালতের রায় কার্যকর করব।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে দেশে উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠন করলে জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, নির্যাতন বেড়ে যায়।প্রতি উপজেলায় সরকারি স্কুল ও কলেজনিজ সরকারের সময়ে নেওয়া অবকাঠামোগত ও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলে দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হবে। প্রতিটি উপজেলায় একটি স্কুল ও একটি কলেজ সরকারীকরণ করা হবে।
সরকার গঠন করলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎদেশের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাত্র চার বছর নয় মাসে এই সরকার ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদনে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সরকার বিদ্যুতের নামে খাম্বা উত্পাদন করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। আমরা রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছি। দেশের মানুষ আগামীতে এর সুফল পাবে। যদি নৌকায় ভোট পাই, আগামীতে সরকার গঠন করি, তবে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব।’
ফোন পেয়েও খালেদা হরতাল প্রত্যাহার করেননি
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনায় বসার জন্য আমি তাঁকে দুপুর একটায় ফোন করেছিলাম। কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করেও তাঁকে পাইনি। পরে তাঁর সহকারী জানান যে, বেগম জিয়া রাত নয়টার আগে কথা বলার জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন না। আমি রাতে তার জন্য অপেক্ষা করেছি। কিন্তু তিনি সাধারণ ভদ্রতাও করেননি। আমি তাঁকে রাতে ফোন করে হরতাল প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছি। খাবার দাওয়াত দিয়েছি। কিন্তু তিনি আলোচনায় বসেননি, হরতালও প্রত্যাহার করেননি।’
খালেদা শিশুদের শিক্ষিত করতে চান না
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেগম জিয়া শিশুদের শিক্ষিত করতে চান না। তাই তিনি পরীক্ষার মধ্যে হরতাল দেন। আমাদের সরকার শিশুদের জন্য পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা শুরু করেছে। এ পর্যন্ত আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনা মূল্যে ১১৯ কোটি বই বিতরণ করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৮ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ শিশুকে, মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে এবং ডিগ্রিতে এক লাখ ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।’
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, বাগেরহাট-১ আসনের সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি দুটি উন্নয়ন প্রকল্পসহ মোট ১৮টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে বাগেরহাট ত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন তিনি পাঁচ শত জায়গায় বোমা ফাটিয়েছেন। আমাকে হত্যা করতে চেয়েছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তে তাঁর একজন কেবিনেট মন্ত্রী ও তাঁর বড় ছেলের নাম উঠে এসেছে। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে ২২ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।’
বিএনপির বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী, বিডিআর বিদ্রোহ মামলা, জেলহত্যা ও জাতির জনক হত্যা মামলার আসামিদের রক্ষা চেষ্টার অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করে লাভ হবে না। আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর করেছি। অন্য সব মামলারও বিচার করব এবং আদালতের রায় কার্যকর করব।’প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে দেশে উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠন করলে জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, নির্যাতন বেড়ে যায়।প্রতি উপজেলায় সরকারি স্কুল ও কলেজনিজ সরকারের সময়ে নেওয়া অবকাঠামোগত ও বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলে দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে শিশুদের জন্য কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপন করা হবে। প্রতিটি উপজেলায় একটি স্কুল ও একটি কলেজ সরকারীকরণ করা হবে।
সরকার গঠন করলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎদেশের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাত্র চার বছর নয় মাসে এই সরকার ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উত্পাদনে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সরকার বিদ্যুতের নামে খাম্বা উত্পাদন করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। আমরা রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছি। দেশের মানুষ আগামীতে এর সুফল পাবে। যদি নৌকায় ভোট পাই, আগামীতে সরকার গঠন করি, তবে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেব।’
ফোন পেয়েও খালেদা হরতাল প্রত্যাহার করেননি
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনায় বসার জন্য আমি তাঁকে দুপুর একটায় ফোন করেছিলাম। কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করেও তাঁকে পাইনি। পরে তাঁর সহকারী জানান যে, বেগম জিয়া রাত নয়টার আগে কথা বলার জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন না। আমি রাতে তার জন্য অপেক্ষা করেছি। কিন্তু তিনি সাধারণ ভদ্রতাও করেননি। আমি তাঁকে রাতে ফোন করে হরতাল প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছি। খাবার দাওয়াত দিয়েছি। কিন্তু তিনি আলোচনায় বসেননি, হরতালও প্রত্যাহার করেননি।’
খালেদা শিশুদের শিক্ষিত করতে চান না
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বেগম জিয়া শিশুদের শিক্ষিত করতে চান না। তাই তিনি পরীক্ষার মধ্যে হরতাল দেন। আমাদের সরকার শিশুদের জন্য পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষা শুরু করেছে। এ পর্যন্ত আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনা মূল্যে ১১৯ কোটি বই বিতরণ করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৮ লাখ ৭০ হাজার ১৭৯ শিশুকে, মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে এবং ডিগ্রিতে এক লাখ ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।’
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, বাগেরহাট-১ আসনের সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি দুটি উন্নয়ন প্রকল্পসহ মোট ১৮টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে বাগেরহাট ত্যাগ করেন।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন