মজুরিকাঠামো
বাস্তবায়নের দাবিতে আজ বুধবার সকালে গাজীপুর ও সাভারে বিক্ষোভ করেছেন
পোশাকশ্রমিকেরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধাওয়া- পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের
ঘটনা ঘটে। গাজীপুরে ৩০ জন শ্রমিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে গাজীপুরের
কোনাবাড়ি ও তিন সড়ক এলাকায় অর্ধশতাধিক ও সাভারের তিনটি কারখানায় আজকের
জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়।কারখানার শ্রমিক
ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার কোনাবাড়ি এলাকায় বেশ কয়েকটি
কারখানার শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে
বিক্ষোভ করতে থাকেন। সকাল নয়টার দিকে পুলিশ শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরাতে
গেলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। উত্তেজিত শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে
ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শ্রমিকদের
ছত্রভঙ্গ করে দেয়।কোনাবাড়ি তোসকা কারখানার শ্রমিক আবদুল আলীম ও সবুর হোসেন জানান, ন্যূনতম
বেতন আট হাজার টাকা করার দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পুলিশ
লাঠিপেটা করায় ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ায় অন্তত ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিদের কোনাবাড়ি শরীফ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।উপজেলার তিন সড়ক এলাকায় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করে
ঢাকা-জয়দেবপুর সড়কে নামলে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। উদ্ভূত
পরিস্থিতিতে সহিংসতা এড়াতে কোনাবাড়ি ও তিন সড়ক এলাকার অর্ধশতাধিক কারখানায়
আজকের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ
মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে হেমায়েতপুরে যমুনা
গ্রুপের শ্রমিকেরা কারখানা থেকে বের হয়ে আশপাশের কারখানায় ঢিল ছোড়েন। এ সময়
পাশাপাশি থাকা বেবিলন ও স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা
হয়। এর পর এই তিন কারখানার শ্রমিকেরা মিলে হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর সড়কে মিছিল
বের করেন। তাঁরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দিকে আসতে থাকলে পুলিশ
বাধা দেয়।
সাভার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা প্রথম আলো ডটকমকে জানান, পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাভার জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা প্রথম আলো ডটকমকে জানান, পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন