শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছে অস্ত্র পর্যবেক্ষক সংস্থা ওপিসিডব্লিউ




সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছে রাসায়নিক অস্ত্র পর্যবেক্ষক সংস্থা ওপিসিডব্লিউ। সংস্থাটি সিরিয়ায় কর্মরত। রাসায়নিক অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করার কাজে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ওপিসিডব্লিউকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নরওয়ের নোবেল একাডেমি।আজ শুক্রবার ওই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পুরস্কার বাবদ একটি সোনার মেডেল ও ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার পাবে ওপিসিডব্লিউ।
১৯৯৭ সালে নেদারল্যান্ডসের হেগে অরগানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবেশন অব কেমিক্যাল ওয়েপন (ওপিসিডব্লিউ) প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি পর্যবেক্ষণের জন্য সংস্থাটি থেকে পর্যবেক্ষক দল পাঠানো হয়।বিবিসিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে বিশেষ অবদান রেখেছে ওপিসিডব্লিউ। ধারণা করা হচ্ছে, নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সিরিয়া শিগগির সই করতে পারে। আর তা করলে সিরিয়া হবে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী ১৩১তম দেশ। সিরিয়ায় বিশ্বের সবচে বড় অস্ত্রভান্ডার রয়েছে বলে বরাবর অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের সম্ভাব্য বিজয়ীদের মধ্যে পাকিস্তানের নারীশিক্ষা আন্দোলনের কর্মী মালালা ইউসুফজাই ও কঙ্গোর চিকিত্সক ডেনিস মুকওয়েজের নামই ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচিত। শান্তি পুরস্কারের জন্য মালালাকেই সবচে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী বলে ধরে নিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। নোবেল শান্তি পুরস্কারের তালিকায় আরও ছিলেন উই টু ব্যান্ডের গায়ক বোনো, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। উইকিলিকসের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করার দায়ে অভিযুক্ত মার্কিন সেনাসদস্য চেলসি (ব্র্যাডলি) ম্যানিংও ছিলেন সম্ভাব্যদের তালিকায়। তবে সবাইকে তাক লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত শান্তি পুরস্কার জিতে নিল ওপিসিডব্লিউ। গত বছর শান্তি, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে নোবেল কমিটি।
Share on Google Plus

About juwel ishlam

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment