আমাদের এই দৈন্দিন জীবনে চলার পথে অনেক সময় আমাদের অনেকের পকেটে জাল টাকা চলে আসে । আর এটা মূলত কিছু অসাধু ব্যক্তির জাল নোট তৈরি ও বাজার জাত কারণে প্রতিনিয়ত আমরা সাধারণ মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি । তাই আমাদের সকলকে এই জাল নোট গুলো চেনা খুবয়ই জরুরী । আর এই জাল টাকার নোট চেনার সহজ সহজ কয়েকট উপায় আছে । উপায়গুলো
১ । জাল টাকার প্রথম শর্ত হচ্ছে এই টাকার নোটগুলো নতুন হবে । কারণ জাল টাকার নোটগুলো সাধরণ কাগজের তৈরি তাই পুরাতন হয়ে গেলে সেই নোট নাজেহাল হয়ে যায় বা তা অতি সহজেই বোঝা যায় ।
২। জাল টাকার নোট ঝাপসা দেখায় । আসল নোটের মত ঝকঝকে থাকে না । সেটা নতুন হোক আর পুরাতন হোক এবং কিছুটা পাতলা বা হালকা ধরনের যা একজন আরেকজনের কাছ থেকে টাকা লেন দেন করার সময় একটু মনযোগ সহকারে দেখলেই বোঝা যায় ।
৩। জাল নোট হাতের মধ্যে নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে তা সাধারণ কাগজের মতো ভাঁজ হয়ে যাবে । আর আসল নোট ভাঁজ হবে না । যদিও সামান্য ভাঁজ হবে তবুও তা জাল নোটের ক্ষেত্রে তুলনামূলক অনেক বেশি ।
৪। এবার আসুন আসল কথায় আপনি এই মূহুর্তে নতুন একটি ১০০০ টাকা ও ৫০০ টাকা এবং একটি ১০০ টাকার নোট এবং পুরাতন একটি পাঁচশত টাকার নোট আপনার হাতে নিন । আর এই বর্ণনার সাথে মিলিয়ে দেখুন কথাগুলো ঠিক আছে কি না ।
৫। উপরে লেখা প্রথম তিনটি নোট সোজা করে ধরুন এবার লক্ষ্য করুণ নোটের বাম পাশে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত একটি সরল রেখা আছে । একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ওটা কোন রেখা নয় । সেখানে স্পষ্টভাবে ইংরেজিতে বাংলাদেশ ব্যাংক Bangladesh Bank কথাটা লেখা আছে ।
৬। পুরাতন ৫০০ টাকার নোটে বাম পার্শের নিচে সুন্দর নকশা করে লেখা আছে ৫০০ মূলত সেখানে Bangladesh Bank কথাটাও লেখা আছে হালকা ও ভারি রং দিয়ে ।
৭। টাকা সবসময় দুটি অংশ দিয়ে তৈরি হয় । টাকার দুই পার্শে দুটো নোট জোড়া লাগানো থাকে এবং এটা হরিনের চামড়া দিয়ে তৈরি বলে পানিতে ভেজালেও খুব তারাতারি ভেঙ্গে যাবে না । আর জাল নোট পানিতে ভেজানোর সাথে সাথেই তা ভেঙ্গে যাবে।
৮। আসল নোট সবসময় খসখসে হবে ।
৯। উপরের সবগুলো উপায়ে যদি আসল ও জাল এবং নকল নোট সনাক্ত করতে কেউ ব্যর্থ হয় তবে তার জন্য সর্বশেষ উপায় আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট । এই লাইটের মাধ্যমে সনাক্ত করা খুবই সহজ । আসল নোটে এই লাইটের আলো ধরলে নোটের উপর রেডিয়ামের প্রলেপ জ্বল জ্বল করে উঠবে । জাল নোটে তা হয় না ।
কৃতজ্ঞতাঃ এমটিনিউজ২৪
পোস্ট বিষয় লালন
আমি এরকমই যে সময় যা মনে চায় তাই করি যেমন এইযে রেডিওতে লালন ফকিরের গান শুনে এখন তাকে নিয়ে লেখতে
বসে গেলাম ।
সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে । লালন বলে জাতের কি রূপ দেখলাম না এই নজরে । কেউ মালায় কেউ তসবি গলায়,
তাইতে যে জাত ভিন্ন বলায় । যাওয়া কিম্বা আসার বেলায়,
জাতের চিহ্ন রয় কার রে । জাত গেল জাত গেল বলে
একি আজব কারখানা
সত্য কাজে কেউ নয় রাজি
সব দেখি তা না না না ।
- - - - - - - - - - -
- - - - - -
গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়
তাতে ধর্মের কী ক্ষতি হয়
লালন বলে জাত কারে কয়
এই ভ্রমও তো গেল না ।
“
”
— লালন, ধর্মতত্ত্ব
আট কুঠুরী নয় দরজা আঁটা
মধ্যে মধ্যে ঝরকা কাঁটা ।
তার উপরে সদর কোঠা
আয়না মহল তায় ।
“
”
— লালন , দেহতত্ত্ব
সারা বিশ্বে বিশেষ করে বাংলাদেশসহ সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে লালনের গান বেশ জনপ্রিয় । শ্রোতার পছন্দ অনুসারে বিবিসি বাংলার করা সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় লালনের খাচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায় গানটির অবস্থান ১৪তম স্থান পেয়েছে । আত্মতত্ত্ব, দেহতত্ত্ব, গুরু বা মুর্শিদতত্ত্ব, প্রেম ভক্তিতত্ত্ব, সাধনতত্ত্ব, মানুষ পরমতত্ত্ব, আল্লাহ্ নবীতত্ত্ব, কৃষ্ণ গৌরতত্ত্ব এবং আরও বিভিন্ন বিষয়ে লালনের গান রয়েছে ।
লালনের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গানের প্রথম কলি ।
১। আমি অপার হয়ে বসে আছি
২। সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে
৩। জাত গেলো জাত গেলো বলে
৪। খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়
৫। আপন ঘরের খবর লে না
৬। আমারে কি রাখবেন গুরু চরণদাসী
৭। মন তুই করলি একি ইতরপনা
৮। এই মানুষে সেই মানুষ আছে
৯। যেখানে সাঁইর বারামখানা
১০। বাড়ির কাছে আরশিনগর
১১। আমার আপন খবর আপনার হয় না
১২। দেখ না মন, ঝকমারি এই দুনিয়াদারী
১৩। ধর চোর হাওয়ার ঘরে ফান্দ পেতে
১৪।সব সৃষ্টি করলো যে জন
১৫। সময় গেলে সাধন হবে না
১৬। আছে আদি মক্কা এই মানব দেহে
১৭। তিন পাগলে হলো মেলা নদে এসে
১৮। এসব দেখি কানার হাট বাজার
১৯। মিলন হবে কত দিনে
২০। কে বানাইলো এমন রঙমহল খানা
ছবি তথ্যঃ ইন্টারনেট ।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন